পূর্ণ চাঁদের পুলকরঙিন নই-
আঁধারের চাঁদদর্শনে পূর্ণশশী;
একদিন ঢাকা সড়কে চাঁদজোছনায়
সোডিয়াম বাতির সঙ্গমসাম্যে চোখ রেখেছি;
প্রীতিময় হৃদকম্পন রাজা-প্রজা
দৃশ্যত একসাথে রাজধানীতে ঘুম-জাগরণ;
ভূমিকম্পের আগাম খবরে যত-না কাঁপি
অধিক কাঁপি মানবস্বজনের লোভলালিত্যে;
আহা, ঘন রোদে লোভী চোখে চোখ রাখি!
দেখি, হাস্যে, ভাষ্যে, মৌনতায় লোভাতুর!
মহাপৃথিবীর নিসর্গে-নিসর্গে
দৃশ্যমান শুধু ক্ষুধার শেকল;
পূর্ণিমার নগ্ন জোছনায়
মধ্যরাতে, পথে
আমি পথ ছাড়িয়ে যাই...
নক্ষত্রে, গ্রহে কতবার
লুকোচুরি খেলে গেছে...
পথ থেকে বিকশিত ঘর!
পুরনো হবার মতো আয়ু নেই--
পথ না ফুরতেই ক্ষয় ধরেছে চাঁদে;
দেখি, ক্ষয়িষ্ণু দেহ
বিপন্নতায় কাঁপে; পাশে শাদা-শাদা
তুলো-- শূন্যতা, জীবনের নীলরঙ;
পৃথিবীর তাবৎ প্রাণীর
কুসুম কোমল শিশুরা শব্দে-নিঃশব্দে
ভাষা দেয় অনন্তের...;
জোছনা কি সৌর-কুহেলিকা?
পূর্ণ হতেই
নিঃশেষ হতে চায়...
পৃথিবীর রাতের চেরাগ?
হলুদ পাখিটির নাম জানিনি- টক টক টক করে ডাকে;
ওদের কোনও বাসা দেখিনি- থাকে কোথায়... ?
ডাকে কেন... ? পাতার ভেতর রাতকাটাবার অভ্যাস
ওরা পেলো কোত্থেকে... ? টক টক টক ডাকে;
থেমে থেমে টুপ টুপ করে জল পড়ে টিপকলের গলাচুয়ে;
নকশাদার পতঙ্গের শব্দসৃষ্টিতে রাতের আবহ বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে;
রাতে, কুকুরের ডাক- প্রথাগত ব্যাপার ব'লে দূর থেকে
ভেসে–আসা অন্যান্য শব্দের সাথে একেও শুনি...;
একটি গেছো ব্যাঙ উড়-স্বভাবের কীটপতঙ্গের সাথে
শৌচাগারে রাত কাটাবে... আমরা যদি সেখানে
আলোক সরবরাহ করি- তবেই তারা আলোকিত–
নইলে গাঢ় আঁধারে চোখের প্রয়োজনীয় প্রখরতা জ্বালিয়ে দিয়ে
নিশাচর সময় কাটানো ।
কামাল বারি :
১৯৬৫ সালের ১৮ জানুয়ারি পুরান ঢাকার প্যারিদাস রোডে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ডাঙ্গারপাড় গ্রামে। নব্বইয়ের দশকে কবিতা দিয়েই লেখালেখির হাতেখড়ি। এখনও লিখছেন গল্প, ছড়া, গান, প্রবন্ধ, নাটক। কামাল বারি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি প্রেসপেন২৪.কম নামে একটি অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি
আপনার মতামত লিখুন :