• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কারাগারে রায় পড়ে শোনানো হবে আজ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২২, ২০১৭, ১০:২৪ এএম
কারাগারে রায় পড়ে শোনানো হবে আজ

ঢাকা : ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন আসামির করা আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগের রায় কারাগারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার হত্যা চেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হলেন শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন।

বুধবার (২২ মার্চ) তাদের রিভিউ খারিজের রায় পড়ে শুনানোর হবে জানিয়েছেন, কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, রিভিউ খারিজের রায় তারা হাতে পেয়েছেন। আজই তাদের তা পড়ে শোনানো হবে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ রায় প্রদানকারী তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর রায়ের কপি কারাগার, বিচারিক আদালত, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ বলেন, ৫ পৃষ্ঠার রায়টি মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত হয়। প্রক্রিয়া অনুসারে আপিল বিভাগ থেকে রায়ের কপিটি হাইকোর্ট বিভাগ ও বিচারিক আদালত হয়ে কারাগারে যাবে।

এর আগে এই তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায় রিভিউ চেয়ে করা আবেদন ১৯ মার্চ খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে আসামিদের এই মামলায় আইনি লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি হয়।

এখন নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ খারিজ আদেশের কপি হাতে পেলে কর্তৃপক্ষ আসামিদের ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে জেলকোড অনুযায়ী ‘২১ দিনের আগে নয় এবং ২৮ দিনের পরে নয়’ বলে যে বিধান রয়েছে তা অনুসরণ করবে। পাশাপাশি এর মধ্যে আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগও নিতে পারেন।

ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া কী হবে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মঙ্গলবার বলেন, তাদের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু রিভিউ আবেদন করায় থেমে ছিল। এখন রিভিউ খারিজের রায় কারাগারে পৌঁছানোর পরে আসামিদের কাছে জানতে চাওয়া হবে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কী না। প্রাণভিক্ষা চাইলে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের ওপর তাদের ফাঁসি কার্যকর নির্ভর করবে।

আর প্রাণভিক্ষা না চাইলে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফাঁসি কার্যকরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তাদের ক্ষেত্রে জেলকোড প্রযোজ্য হবে। এ ক্ষেত্রে জেল কর্তৃপক্ষ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর থেকে ফাঁসি কার্যকরে ‘২১ দিনের আগে নয় এবং ২৮ দিনের পরে নয়’ বলে যে বিধান রয়েছে তা অনুসরণ করবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!