• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘কারো নেতাগিরি দেখার সময় আমাদের নেই’


বিনোদন প্রতিবেদক জুন ১৯, ২০১৭, ০১:৪৬ পিএম
‘কারো নেতাগিরি দেখার সময় আমাদের নেই’

ঢাকা: যৌথপ্রযোজনার ছবি নিয়ে সরগরম গোটা ইন্ডাস্ট্রি। কারণ যৌথপ্রযোজনার ছবি নিয়ে মুখোমুখি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ও বাংলা চলচ্চিত্রের ১৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলা চলচ্চিত্র ঐক্যজোট। সংগঠনটির দাবী, যৌথপ্রযোজনার নামে ভারতের সঙ্গে যে সিনেমাগুলো ইদানিং হচ্ছে, সেগুলো মোটেও যৌথ নীতিমালা মেনে তৈরি হচ্ছে না। তাই যৌথপ্রযোজনার নামে চলছে যৌথপ্রতারণা। আর তা ঠেকাতেই রোববার সকাল থেকে এফডিসিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন চলচ্চিত্র ঐক্যজোট। যে ধর্মঘট ও সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন অসংখ্য তারকা অভিনেতা অভিনেত্রীরা।

তারই প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র বুকিং এজেন্ট সমিতির উদ্যেগে রোববার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, আরেফিন শুভ, অমিত হাসান, চিত্রপরিচালক কাজী হায়াৎ, বিপাশা কবির, মিষ্টি জান্নান, জলি, নওশেদ খান সহ আরো অনেকে। আর সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন শাকিব খান। 

চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ব্যানারে রোববার দুপুরে এফডিসিতে ধর্মঘট ও সমাবেশ বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্রনায়ক শাকিব খান বলেন, কারো নেতাগিরি দেখার সময় আমাদের নেই। আর এই সমস্ত নেতাগিরি দেখার সময় বাংলাদেশের মানুষেরও নেই। সব কিছুই কিন্তু এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। আজকে যারাই আন্দোলন করছে, কালকে দেখবেন আন্দোলনের অবস্থা কি হয়। তারপর দেখবেন কি হয়! 

যৌথপ্রযোজনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে যারা আন্দোলন করছে, সে আন্দোলনকে ভিত্তিহীন দাবী করে শাকিব খান বলেন, এই আন্দোলনের কোনো ভিত্তিই নেই। আমার কথা হচ্ছে যদি যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথপ্রতারণা হয়, ঠিকাছে তাহলে আটকে রাখুন সিনেমা। যদি আইনের মধ্যে না পড়ে, তাইলে এক কথা। কিন্তু আপনি পায়ে পায়ে আইন ধরবেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এভাবে তাকায় কিন্তু উনি এইভাবে কেনো ঘুরে তাকালো? এতোকিছুতো দেখলে হবে না। দেখতে হবে এটা অশ্লীল সিনেমা কিনা? যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমাগুলোতো আর অশ্লীল সিনেমা না। ‘নবাব’ কি একটা অশ্লীল সিনেমা? ‘নবাব’ কি এমন একটা সিনেমা যেটা সমাজে বিরূপ প্রভাব পড়বে? আমি বলছি, নবাব হচ্ছে এমন একটা সিনেমা যা বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে ইন্টারনেশনালি হাইলি তুলে ধরা হয়েছে। সম্মানের সাথে প্রেজেন্ট করা হয়েছে। নবাব ইন্টারনেশনালিই চলবে, এবং বাংলাদেশের প্রশাসনের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরবে। 

‘নবাব’ ছবিটি আটকে রাখা প্রসঙ্গে শাকিব খান সংবাদসম্মেলনে আরো বলেন, নবাব সম্পর্কে খোঁজ দিতে আমাকে যখন এখান থেকে ফোন করেছিলেন আজিজ সাহেব। তখন আমি ভেবেছি আমাকে হয়তো সেন্সর বোর্ড বা প্রিভিউ কমিটি ডেকেছে। কারণ ‘নবাব’ ছবির হিরো হিসেবে আমি ভেবেছি এই ছবি দেখে বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড বা প্রিভিউ কমিটি ‘আনকাট সেন্সর’ তো দেবেই, সেই সাথে এতো অসাধারণ একটা সিনেমার জন্য প্রশংসাপত্রও দিবে। হয়তো সেন্সর ছাড়পত্রসহ প্রশংসাপত্রটা আজিজ সাহেবকে দিয়েছেন, যা তিনি বাংলাদেশ থেকে আমাকে ফোনে বলতে চাইছেন! কিন্তু কিসের কোথায় ‘আনকাট সেন্সর’! প্রশংসাপত্রতো দূরের কথা, নবাবকে কিভাবে আটকানো যায় সেই চেষ্টায় সবাই ব্যস্ত হয়ে আছেন। 

তবে শেষ পর্যন্ত আশাবাদী শাকিব খান। চলচ্চিত্রের প্রতিটি ন্যায্য আন্দোলনের সঙ্গে এতোদিন ছিলেন, এবং যৌথপ্রতারণা বলে যারা আজ রাস্তায় নেমেছে তাদেরকে ব্যক্তিস্বার্থবাদী বলেই মনে করেন তিনি। শুধু তাই না, তাদের কাছেও যদি যৌথপ্রযোজনার ছবির প্রস্তাব যায় তাহলেও তারা আন্দোলন বন্ধ করে যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয় শুরু করে দিবে বলেও মনে করেন দেশ সেরা এই চিত্রনায়ক!

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!