গাজীপুর: জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মাঝুখান গ্রামে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জমি জালিয়াতির অভিযোগে মুক্তি মাহমুদ নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টের তিন আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই তিন আসামির কাছ থেকে পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মী সোহাগের মধ্যস্থতায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, মাঝুখান গ্রামের মোসলেম উদ্দিন মেম্বার, ইউনুছ আলী ও আব্দুল হালিম নামের তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি জমির জাল দলিল বিষয়ক একটি আদালতের মামলার ওয়ারেন্ট ইস্যূ হয়। ওই ওয়ারেন্ট নিয়ে কালিয়াকৈর থানার এস আই মুক্তি মাহমুদ নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বিকেলে মাঝুখান বাজারে গিয়ে আসামি মোসলেম উদ্দিন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।
পরে মামলার আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিলে ছাত্র লীগের কর্মী সোহাগ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের মধ্যস্থতা করে ইউনুছ আলী ও আব্দুল হালিম নামের দুই ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে পুলিশ ও আসামি পক্ষের লোকজনের মধ্যস্থতায় এক লাখ টাকা রফাদফা করে আসামিদের ছেড়ে দিয়ে এসআই মুক্তি মাহমুদ চলে আসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এক লাখ টাকার বিনিময়ে ওয়ারেন্টের তিন আসামিকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। এ রকম আইন হলে দেশ চলবে কিভাবে।
মৌচাক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন জানান, আমি তদবির করে মোসলেম উদ্দিনকে রেখে দেই। টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তি মাহমুদ জানান, মোসলেম উদ্দিন নামের এক ওয়ারেন্টের আসামি প্যারালাইসেস রোগী থাকার কারণে তাকে এলাকার মরুব্বিদের অনুরোধে রেখে আসতে হয়েছে। অন্য দুই আসামিদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :