• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কালীগঞ্জে পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষ: আহত ১৫


গাজীপুর প্রতিনিধি মার্চ ২৫, ২০১৭, ০১:৩০ পিএম
কালীগঞ্জে পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষ: আহত ১৫

গাজীপুর: জেলার কালীগঞ্জে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের নলসাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত গ্রামবাসীর মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন, মৃত. বিমল ডরেশের স্ত্রী মিনা ক্রুশ (৪০), দীনেশ রোজারিওর ছেলে হৃদয় রোজারিও (৩৫), অমল রোজারিওর ছেলে অনিক রোজারিও (২০), অনিল ডরেশের স্ত্রী ধনী (৫০), অরুন ডরেশের স্ত্রী মন্দিরা (৪৫), জেবিআর রোজারিও’র ছেলে প্লাসিড রোজারিও (৩২), সুভল রোজারিওর ছেলে রাজীব রোজারিও (২৮)।

অন্যদিকে, আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামিল উদ্দিন রাশেদ (৩০) ও আমিনুর রহমান (৩৫), কনস্টেবল জিয়াউর রহমান (৩২), নজরুল ইসলাম (৫৮), মো. মনির হোসেন (৩৩) ও আনসার মনির হোসেন (৪৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ওই গ্রামের একটি বাড়িতে মাদকের খোঁজে অভিযান চালায়। এ সময় মাদকাসক্ত কিছু লোক তিন পুলিশকে ঘরের ভেতর আটক করে ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। পরে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় জনতার লাঠির আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ওই গ্রামের বিমল ডরেশের স্ত্রী মিনা ক্রুশ বলেন, সাদা পোশাকের ৫ জন পুলিশ জোরপূর্বক তার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা থানার লোক বলে জানায়।

তাদের গায়ে পুলিশের পোশাক না থাকায় এবং পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে বাড়ির লোকজন ডাকাত বলে চিৎকার করে। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে পুলিশ বারান্দার একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে এলাকাবাসীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাঠিচার্জ করে ও গুলি ছোড়ে বলে মিনার অভিযোগ।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কবির হায়দার জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে জিয়াউর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কালীগঞ্জ থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ মাদক অভিযানে যায়। পরে ওখানে কিছু মাদক সেবনকারীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!