• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কালো তালিকাভুক্ত ১৬ হাজার চাল কল মালিক


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৩, ২০১৭, ০৭:৫৭ পিএম
কালো তালিকাভুক্ত ১৬ হাজার চাল কল মালিক

ফাইল ফটো

ঢাকা: রোজার আগ থেকেই দেশের বাজারে হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে চালের দাম। বর্তমানে চালের দাম প্রায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আর চালের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য চাল কল মালিকদের দায়ি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, অসাধুভাবে চাল মজুদ করার অভিযোগে ১৬ হাজার চাল কল মালিককে কালো তালিকাভুক্ত করেছে সরকার। শুধু তাই নয়, আগামী তিন বছর এসব চাল কল মালিকের কাছ থেকে চাল না কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, অসাধুভাবে চাল মজুদ করে বাজারে দাম বাড়ানোর পেছনে যেসব চাল মিল মালিকরা ভূমিকা রেখেছে; আমরা তাদের কালো তলিকাভুক্ত করছি। এমন মিল মালিকের সংখ্যা ১৬ হাজার। সরকার আগামী তিন বছর এসব মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল কিনবে না।

বন্যার প্রভাবে চালের উৎপাদন কমবে অনেক আগেই এমন আশঙ্কার পরে কেন এত দেরিতে চাল আমদানি করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যথাসময়ে চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এছাড়া ট্যারিফ উঠিয়ে দেয়ার জন্য আগেই চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কথা চিন্তা করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের কৃষকদের এক মণ চাল উৎপাদন করতে খরচ হয় ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কথা চিন্তাটাই করেছেন, যেন তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায়। এজন্য ট্যারিফটা দেরিতে উঠিয়েছেন তিনি। ট্যারিফ ওঠানোর প্রভাবে চালের বাজার এখন নিম্নমুখী।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি অনুযায়ী ২০ হাজার মেট্রিক টনের প্রথম চালান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। চলতি মাসের ২৪ তারিখ আরো এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল আনা হবে। এছাড়া আগস্টে আরো সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করার কথা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, টানা কয়েক বছর বাম্পার ফলনের কারণে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও এবার বোরো মৌসুমে আগাম বন্যায় সরকারি হিসেবে ছয় লাখ টনের মতো ধান নষ্ট হয় হাওরে। পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে (১০ টাকা কেজি দরের চাল) সাড়ে সাত লাখ টন চাল বিতরণ করায় সরকারি মজুদ অনেক কমে আসে।

এই পরিস্থিতিতে বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করলে সরকার উদ্যোগী হয়। সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য দরপত্র দেয়ার পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়।

সরকারিভাবে চাল আনতে চারটি টেন্ডার হয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবারও আরেকটি দরপত্র হচ্ছে। দরপত্রে ৪০ দিনের মধ্যে চাল সরবারহ করতে বলা হচ্ছে। ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকেও সরকারিভাবে চাল আসছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!