• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
কর্মীরা চান

কাশ্মীর কব্জা করতে মোদী কী করবেন?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬, ০৭:৫৪ পিএম
কাশ্মীর কব্জা করতে মোদী কী করবেন?

পাকিস্তানকে জবাব দিতে হবে তাদের ভাষাতেই। পাকিস্তান বারবার আমাদের সেনাদের হত্যা করছে। কিন্তু কেন্দ্র পদক্ষেপ করছে না। কথাগুলি নরেন্দ্র মোদীর।

ফারাক একটাই। এ সব কথা বলার সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেননি।

আর এখন? উরির ঘটনার পর নিজের সঙ্গেই লড়াই করতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীকে। খোদ বিজেপি আর সঙ্ঘের থেকেই প্রশ্ন উঠছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পদক্ষেপ কোথায়?

উরির ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছে গিয়েছিলেন ওয়ার রুমে। সাউথ ব্লকের এই বিশেষ ঘরটি যুদ্ধ বা ওই ধরনের পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানকে সামরিক জবাব দেওয়া যায় কী ভাবে, তা নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা আলোচনাও করেছেন তিনি।

কেরলের কোঝিকোড়ে প্রধানমন্ত্রীকে হাজির হতে হচ্ছে গোটা দেশ থেকে আসা বিজেপির প্রায় তিন হাজার নেতার সামনে। বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠকের সেই প্রকাশ্য মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য দাবি তীব্র হবে। তবে ওই মঞ্চ মোদী থেকে কী বার্তা দেন, তার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে পাকিস্তানকে নিয়ে যেতে থাকা দলের নেতা-কর্মীদের সামনে বলতে গিয়ে মাথায় রাখতে হবে আন্তর্জাতিক সমীকরণকেও।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্কটের কথা বুঝেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, একসময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিরন্তর তাতিয়ে দিতেন নরেন্দ্র মোদী। ভোট প্রচারে হাততালিও জুটত। লোকসভায় তার প্রতিফলন ভোটবাক্সেও পড়েছে। সামনে এ বার উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচন। দলের এবং সঙ্ঘ পরিবারের অনেকেই চান, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে জাতীয়তাবাদের হাওয়া আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে যান মোদী। কিন্তু বিরোধী দলে থেকে বলা আর কুর্সিতে বসে দায়িত্ব পালনের মধ্যে বিস্তর ফারাক। তাই এই জাঁতাকলে পড়ে এখন ভারসাম্যের পথ খুঁজতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীকে।
এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহ দলের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন, জাতীয় পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তান ও সন্ত্রাস ছড়াতে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী যা বলার বলবেন। কিন্তু দলের নেতারা যদি আম-জনতার ভাবনা ও অসন্তোষকে মাথায় রেখে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে চান, তার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই সেটি যেন প্রধানমন্ত্রীর উপরে অনাস্থা প্রকাশের পর্যায়ে না পৌঁছয়।

প্রধানমন্ত্রী কোঝিকোড়ে আসছেন বলে তাঁর কাজের সুবিধার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সাউথ ব্লককেই যেন তুলে নিয়ে আসা হয়েছে কোকিঝাড়ে। গত কয়েক দিন সংযম দেখিয়ে সঙ্ঘের নেতারা এখন পাক-অধিকৃত কাশ্মীর কব্জা করার দাবিও তুলতে শুরু করেছেন। বিজেপি নেতা চন্দন মিত্রও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে। দলের কর্মীদের বোঝাতে পারেন কি না, সেটাই এখন মোদীর পরীক্ষা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!