• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কিবরিয়া হত্যা: হবিগঞ্জের মেয়র গউসের জামিন


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ২৪, ২০১৬, ০৭:১৬ পিএম
কিবরিয়া হত্যা: হবিগঞ্জের মেয়র গউসের জামিন

ঢাকা: প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হবিগঞ্জ পৌরসভার (বরখাস্ত) মেয়র জি কে গউসকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) তার জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে গউসের বিরুদ্ধে একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে অন্য একটি মামলা থাকায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না, বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। 

আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশীর উল্লাহ।

পরে গউসের আইনজীবী মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি এ ঘটনায় গ্রেফতার অপর চার আসামি জয়নাল আবেদীন সেলিম, জমির আলী, মো. তাজুল ইসলাম ও মো. সাহেদ আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গউসের নাম বলেননি। 

শুধু হরকতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, সিলেটের কাজ স্থানীয়রা করবে। কিন্তু তিনি কারো নাম বলেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলায় গউসকে জড়ানো হয়েছে। শারীরিকভাবেও তিনি অনেক অসুস্থ। কারাগারেও তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করা হয়। আদালত আমাদের যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেন।

তিনি আরও বলেন, এই মামলায় ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর চতুর্থবারের মতো দেওয়া অভিযোগপত্রে গউসকে আসামি করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই তিনি তৃতীয়বারের মতো হবিগঞ্জের মেয়র নির্বাচিত হন।

এই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের পর ২০১৫ সালের অক্টোবরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন গউস। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে তার জামিন প্রশ্নে রুল দেন হাইকোর্ট। সেই রুল এবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে আজ হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

তিন দফা তদন্তের পর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক, জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!