• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কিবরিয়া হত্যার বিষ্ফোরক মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি  সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬, ০৪:৫৪ পিএম
কিবরিয়া হত্যার বিষ্ফোরক মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া  হত্যার বিষ্ফোরক মামলাটি বিচারের জন্য হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ  আদালত হতে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে হারিছ চৌধুরীসহ পলাতক ৯ আসামির মালামাল ক্রোকের তামিল আদেশ হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ’র আদালতে এসে পৌঁছায়। এবং মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করা হয়।

হবিগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী জানান, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মামলার সকল নথিপত্র সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ মামলার ৩২ আসামির মধ্যে জামিনে ৮ জন, ১৫ জন কারাগারে ও ৯ জন পলাতক রয়েছেন।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচজন। এ ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলাটি সিআইডিতে ন্যাস্ত হলে তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডি’র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান। তিনি ওই বছরের ১৯ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিস্ফোরক মামলাটি তদন্ত শেষে তৎকালীন সদর থানার ওসি এমএস জামান একই আদলে আদালতে ২০ এপ্রিল চার্জশিট দেন। উভয় চার্জশিটে ১০ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হচ্ছেন, শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি একেএম আব্দুল কাইয়ুম, শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদ জেলা সভাপতি সাহেদ আলী, লস্করপুর ইউনিয়ন সভাপতি জয়নাল আবেদীন মোমিন, বিএনপি লস্করপুর ইউনিয়ন সভাপতি জমির আলী, বিএনপি কর্মী জয়নাল আবেদীন জালাল, আয়াত আলী, তাজুল ইসলাম, কাজল মিয়া, মহিবুর রহমান ও জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সহ-দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমদ। 

বাদীপক্ষের কয়েক দফা নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির অধিকতর তদন্ত হয়। সর্বশেষ তদন্ত করেন সিলেট সিআইডির সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল। ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেন। আর ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট দেন বিস্ফোরক মামলার চার্জশিট। উভয় চার্জশিটেই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের পৌরসভার মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছসহ মোট ৩২ জনকে আসামি করা হয়।

এর মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, আরিফুল হক চৌধুরী ও জি কে গউছসহ ১৫ জন দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক আছেন।
 
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!