• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিভাবে প্রেমে পড়েছিলেন শচীন-সৌরভ-শেবাগরা?


ক্রীড়া ডেস্ক মে ৯, ২০১৮, ০২:০৬ পিএম
কিভাবে প্রেমে পড়েছিলেন শচীন-সৌরভ-শেবাগরা?

ঢাকা: কারও ছিল পারিবারিক সমস্যা, কেউ আবার লুকিয়ে প্রেম করতেন কোচের মেয়ের সঙ্গেই। এই তারকা ভারতীয় ক্রিকেটারদের প্রেমকাহিনি এতটাই চমকপ্রদ যে, তা যে কোনও সময় টেক্কা দিতে পারে সিনেমাকেও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় ক্রিকেটারদের তেমনই কিছু প্রেমের কাহিনী।

সৌরভ-ডোনা: দুই পরিবারের বৈরিতা কখনও সৌরভ-ডোনার প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। শোনা  যায়, বাড়ির লোকের চোখ রাঙানি এড়িয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে নাকি দেখা করতেন দু’জনে। ক্রিকেট মাঠের বাইশ গজের ‘মহারাজ’ প্রেমেও ছক্কায় হাঁকিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে পরিবারের অমতেই গোপনে ডোনাকে বিয়ে করেন সৌরভ।

শচীন-অঞ্জলি: ১৯৯৫ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে প্রথম দেখা। শচীনের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। প্রথম দেখাতেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন। লুকিয়ে প্রেমও চলে প্রায় পাঁচ বছর। শোনা যায়, শচীনের পরিবার নাকি জানতেই পারেনি মাস্টার ব্লাস্টার তাঁর সঙ্গী পছন্দ করে ফেলেছেন। পরে অঞ্জলিই তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন।

বিরেন্দ্র শেবাগ-আরতি: শেবাগের যখন সাত বছর বয়স তখন থেকেই পরিচয় আরতির সঙ্গে। ছেলেবেলার প্রেম পূর্ণতা পায় ১৪ বছর বাদে। শেবাগ তখন একুশের কোঠায়। প্রথম আরতিকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এর পর প্রায় বছর তিনেক চুটিয়ে প্রেম করেন দু’জনে। ২০০৪ সালে চার হাত এক হয়।

রাহুল দ্রাবিড়-বিজেতা: প্রেম ও ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবরই লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছেন ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি। বিয়েও করেছেন গোপনে, সেনা ছাউনিতে। বিজেতা পেশায় চিকিৎসক। দুই পরিবারের পরিচয়ও বহু দিনের। ২০০৩ সালে বেঙ্গালুরুর বিএসএফ ট্রেনিং সেন্টারে গুটিকয়েক আত্মীয় ও বন্ধুর উপস্থিতিতে বিজেতাকে বিয়ে করেন রাহুল।

ধোনি-সাক্ষী: ধোনির বায়োপিক থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের অনেকটাই লোকজনের জানা। কিন্তু যেটা লাইমলাইটে আসেনি সেটা হল সাক্ষীর সঙ্গে নাকি ধোনির পরিচয় ছিল ছোটবেলা থেকেই। রাঁচিতে একই সঙ্গে দু’জনে কাজ করেছেন। পেশাগত কারণের জন্যই দীর্ঘদিনের একটা ব্যবধান চলে আসে। পরে একটি হোটেলে মুখোমুখি হন দু’জনে এবং সেই থেকেই শুরু হয় প্রেম। ২০১০ সালে চার হাত এক হয় দু’জনের।

সুরেশ রায়না-প্রিয়াঙ্কা: কোচের মেয়ের সঙ্গেই প্রেম এই বিধ্বংসী বাঁহাতির। প্রিয়াঙ্কা চৌধুরি রায়নার কোচের মেয়ে এবং তাঁর ছোটবেলার বান্ধবীও। দীর্ঘদিনের প্রেম ২০১৫ সালে পূর্ণতা পায়।

রোহিত-রীতিকা: দীর্ঘ দিন ধরে রোহিতের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন রীতিকা সচদেব। ছয় বছরের পরিচয়। আইপিএল ম্যাচ হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট— রোহিত শর্মা যেখানে যেখানে ব্যাট হাতে নামতেন, গ্যালারিতে নাকি দেখা যেত রীতিকাকে। রোহিত একবার টুইট করে জানিয়েছিলেন, রীতিকা শুধু তাঁর কাছের বন্ধুই নন, সবচেয়ে কাছের মানুষ। ২০১৫ সালে দু’জনের চার হাত এক হয়।

সোনালীনিউজ/আরআইবি

Wordbridge School
Link copied!