• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কিমের কথায় কেন ‘ঠান্ডা নুডুলস’ খাচ্ছে দ. কোরিয়ার সবাই?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২৮, ২০১৮, ১০:৩২ এএম
কিমের কথায় কেন ‘ঠান্ডা নুডুলস’ খাচ্ছে দ. কোরিয়ার সবাই?

ঢাকা: দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সফরে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সাথে বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে।

শুক্রবার দুই নেতার আনুষ্ঠানিক করমর্দনের পর হাল্কা কথা-বার্তা এবং হাস্যরসের সুযোগ ছিল। সেই সুযোগে কিম জং তার দেশের ঠাণ্ডা নুডুলস নিয়ে একটি মন্তব্য করেন।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কিম বলেন, “আমি সংবাদ প্রতিবেদনগুলো দেখছিলাম। মানুষজন খাবার নিয়ে অনেক কথা বলছিল। কাজেই, আমি পিয়ংইয়ংয়ের কিছু কোল্ড নুডলস প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনকে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে এসেছি।”

“নুডলসগুলো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে... তবে এখন এটাকে হয়ত আর দীর্ঘ পথ বলা যায় না” বলেও কিম রসিকতা করেন।

ঠান্ডা নুডলসের জনপ্রিয়তা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের রসিকতায় দক্ষিণ কোরীয়দের মধ্যে এক রকম উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। সবাই এখন এ নুডলস চেখে দেখতে চাইছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ওই নুডলসের দোকানগুলোতে যে কেবল মানুষ উপচে পড়েছে তাই নয়; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিয়ংইয়ং কোল্ড নুডলসের ‘পিয়ংইয়াং নায়েংমিউন’নামটি দুই কোরিয়ার শীর্ষ সম্মেলনকে ছাপিয়ে বেশি মাত্রায় চাউর হয়েছে।

অনেকেই বিষয়টি নিয়ে টুইট করছেন। একজন টুইট করেছেন, ‘কিম জং-আন ঠাণ্ডা নুডলস্‌ নিয়ে জোক করেছেন। এখন সেটাই শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে বেশি ট্রেন্ড করছে। হোয়াট দ্য ...’

আরেকজন বিস্ময় প্রকাশ করে টুইট করেছেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ঘটনা ঘটছে আর দক্ষিণ কোরিয়ায় মাঠ-পর্যায়ে প্রতীকী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে পিওংইয়াং ঠাণ্ডা নুডলস্‌ (#ন্যাংমিয়াং)-এর জন্য লম্বা লাইন। ভাবলাম বিষয়টি বেশ মজাদার।

এই উন্মাদনা সামাজিক মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব রেস্টুরেন্টের মেনুতে এই ঠান্ডা নুডলস্‌ রয়েছে, সেখানে লাইন দিয়ে পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে।

সাংজু হান ইন্সটাগ্রামে একটি সেলফি দিয়ে লিখেছেন, দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক উদযাপন করার জন্য আমি লাঞ্চে ঠাণ্ডা নুডলস্‌ খেয়েছি।

আমি যখন আসি তখন এখানে লম্বা লাইন ছিল। রেস্টুরেন্টে বসার কোন জায়গা ছিল না। ঠাণ্ডা নুডলস্‌ খাওয়ার জন্য আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস সবাই একই কারণে এই রেস্টুরেন্টে এসেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা এক রিপোর্টে বলে, পূর্ব সোলে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে এত ভিড় যে গাড়ি পার্ক করার জায়গা ছিল না।

সোলের আরেকটি রেস্টুরেন্টে অপেক্ষমাণ লোকজন তাদের নাম ডাকার সাথে সাথে চিৎকার করে বলে উঠছে, এবার পিওংইয়াং ন্যাংমিয়াং খাওয়া যাক, কিম জং-উনের সাথে খেতে হবে!


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!