• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কিশমিশের পানি পানের উপকারীতা


স্বাস্থ্য ডেস্ক অক্টোবর ৩, ২০১৬, ১০:১৮ এএম
কিশমিশের পানি পানের উপকারীতা

কিশমিশ রক্তস্বল্পতায় উপকারী ভূমিকা পালন করে। কিশমিশ শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করে। লিভার বা যকৃত পরিষ্কার করতেও কিশমিশের জুরি নেই। নিয়মিত কিশমিশের পানি পান করলে লিভার পরিষ্কার হয়। কিশমিশে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশ না-খেয়ে শুধু কিশমিশের পানি খেলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে ঢোকে। পানিতে ভেজানোর আর একটা কারণ শর্করার মাত্রা কমে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিশমিশের পানি খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার দরুন শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত রক্ত পরিশোধন হতে থাকে। অন্তত টানা চার দিন কিশমিশের পানি পান করলে, পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। পেটের গন্ডগোল থাকবে না। সেইসঙ্গে ভরপুর এনার্জি পাবেন।

অনেক ডাক্তারও রোগীকে ওষুধের পাশাপাশি কিশমিশ প্রেসক্রাইব করেন। কারণ, কিশমিশ হার্টকে ভালো রাখে। সেইসঙ্গে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক যে কোলেস্টেরল রয়েছে, তা দূর করে।
রক্ত পরিষ্কার করতে কিডনির পাশাপাশি লিভারকেও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। তাই লিভার ও কিডনির সমস্যা হলে, ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে জমতে শুরু করে আমাদের অসুস্থ করে তোলে। তাই লিভার ও কিডনিকে সবসময় চাঙ্গা রাখতে হবে। কিশমিশ ভেজানো পানি সেই কাজটাই ভালোভাবে করে। যার দরুণ হজমশক্তিও বাড়ে।

যেভাবে তৈরি করবেন কিশমিশের পানি : ২ কাপ পানি (৪০০ এমএল) ও ১৫০ গ্রাম কিশমিশ লাগবে। কী ধরনের কিশমিশ কিনছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব চকচক করছে, এমন কিশমিশ কিনবেন না। তাতে কেমিক্যাল মেশানো থাকে। চেষ্টা করুন গাঢ় রঙের কিশমিশ কিনতে। তা-ও এমন কিশমিশ নিতে হবে, যা খুব শক্তও না আবার একদম নরম তুলতুলেও না। কিশমিশগুলোকে ভালো করে কয়েক বার ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দু-কাপ পানি দিয়ে রাতভর কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ ছেকে নিয়ে, সেই পানিটা হালকা গরম করে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট অন্য কিছু খাবেন না।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!