• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কী হবে, কত দূরে যাব এসব ভেবে খেলি না: মাশরাফি


ক্রীড়া প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৪:৫৯ পিএম
কী হবে, কত দূরে যাব এসব ভেবে খেলি  না: মাশরাফি

ঢাকা: মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম। দেশে তো বটেই, গোটা ক্রিকেট দুনিয়া জানে লাল সবুজের এই কীর্তিমানের গুনাবলীর কথা। সাত সাতবার সার্জনের ছুরির নিচে গিয়েও বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক। শুধু কি তাই? বাংলাদেশ প্রিমিয়াল লিগে (বিপিএল) ম্যাশের নেতৃত্ব অদ্বিতীয়। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব থেকে বড় এই টুর্নামেন্টের পাঁচটি আসরের মধ্যে চারবার শিরোপা উঠেছে নড়াইল এক্সপ্রেসের হাতেই। তারপরও তিনি নিরহংকার।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিপিএলের পঞ্চম আসরের ফাইনালে সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটসকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। তিস্তাপাড়েরর এই দলটির শিরোপা জয়ের পিছনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে মাশরাফির নেতৃত্ব। গেইল-ম্যাককালামরা তার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেছেন, মাশরাফির তুলনা হয় না। তিনিই সবার অনুপ্রেরণা।

এবার বিপিএলে ১৪টি ম্যাচ খেলে ১৫ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। আবার ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ১৫২ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৩১ রান। টুর্নামেন্টে তাঁর যে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স তা যেন ফিরিয়ে আনলেন ক্যারিয়ারের ঊষালগ্নের সৃতি। আর এই সাফল্য ক্রিকেটানুরাগীদের মনে আফসোস তৈরি করেছে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেন ছাড়লেন মাশরাফি! যদিও সংস্করণটা তাঁর মোটেও পছন্দ নয়। মাশরাফি জাতীয় দলের জার্সি পড়ে টি-টোয়েন্টি খেলেন না। সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। অথচ এ সংস্করণে তাঁর সাফল্য অবশ্য ঈর্ষণীয়।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে শিরোপা জেতার পর মাশরাফির কাছে প্রশ্ন এসেছিল আবার কি জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে মাশরাফিকে? জবাবে ম্যাশ জানিয়েছেন,‌ ‍ ফেরার চিন্তা করছি না। আমার আজেবাজে জিদ নেই। টি-টোয়েন্টি পছন্দ করি না কিংবা খেলতে পছন্দ করি না—এসব যদি চিন্তা করে খেলি, তাহলে দলের জন্য সেটা ভালো নয়। যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে, তারাও ভুল বার্তা পাবে। সব সময়ই চেষ্টা করি যেটা খেলি, যেখানেই খেলি আমার শতভাগ দিতে। কী হবে, কত দূরে যাব—এসব ভাবি না।

অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলের পাঁচ আসরের চারটিতেই জিতেছেন মাশরাফি। সেই বিচারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ না বলে ‘মাশরাফি প্রিমিয়ার লিগ’ বললেও মন্দ হয় না!  ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বিপিএলে তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। ২০১৩ সালে মাশরাফির অধিনায়কত্বে আবারও শিরোপা জেতে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস। ২০১৫ সালে বিপিএলের তৃতীয় আসরে ম্যাশের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সর্বশেষ পঞ্চম আসরে রংপুর রাইডার্সকে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেন মাশরাফি। কেবল চতুর্থ আসরে সাকিবের অধিনায়কত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!