• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর শত্রু মুক্ত হয় আজ


এসএম জামাল, কুষ্টিয়া ডিসেম্বর ৮, ২০১৭, ০৯:৫০ এএম
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর শত্রু মুক্ত হয় আজ

কুষ্টিয়া: আজ ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর শত্রু মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন।

এই দিন ৮নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর আবুল মুনছুরের নেতৃত্বে জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদুল আলমের নেতৃত্বে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে ভোর ৭টার সময় ভেড়ামারা ফারাকপুরে পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।

সেই সময় প্রায় ৭ ঘন্টাব্যাপী এই যুদ্ধে ৮ জন পাক সেনা নিহত হয়। যুদ্ধের পর পরই মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে প্রায় ৫০/৬০ জন বিহারী নিহত হয়।

এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর অন্যান্য সদস্য বৃন্দের মনোবল ভেঙ্গে যায়। তারা সন্ধ্যার আগেই ভেড়ামারা থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রীজ দিয়ে পালিয়ে যায়। এই দিন রাতে মুক্তিপাগল মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে ভেড়ামারায় প্রবেশ করতে থাকেন।

তারা বিজয়ের আনন্দে মেতে ওঠে। আজকের এই দিনেই মিরপুর থানা পাকহানাদার মুক্ত হয়। বাঙ্গালী ও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে বহু ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে জেলার মিরপুর থানা পাকহানাদার মুক্ত হয়েছিল। মিরপুর হানাদার মুক্ত হওয়ার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিভিন্ন বয়সের হাজারও নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে।

এছাড়াও আজকের এই দিনে দৌলতপুরকে শক্র মুক্ত করে থানা চত্বরে বিজয় পতাকা উড়ানোর মধ্যদিয়ে মুক্তিকামী বীর সূর্য সন্তানেরা দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করেন। দৌলতপুরকে  হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকসেনাদের সন্মুখ যুদ্ধসহ ছোট-বড় ১৬ টি যুদ্ধ সংঘঠিত হয়।

এসকল যুদ্ধে ৩৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক’শ নারী-পুরুষ শহীদ হন। ৮ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার আল্লারদর্গা এলকায় পাক সেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে শহীদ হোন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক সেনারা। এরপর দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা ৮নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর নুরুন্নবী।

দিবসটি পালন উপলক্ষে সকল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড র‌্যালি, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!