কুসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা

কুমিল্লা: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে একটি ভোটকেন্দ্র স্থগিত ছাড়া অন্যসব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।

বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ (কমার্স কলেজ নামে পরিচিত) কেন্দ্রে ১০-১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দখলের চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী রমিজ উদ্দিন ও তার সমর্থকরা। এসময় উপস্থিত ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বেলা ১২টার পরে রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল ভোট স্থগিতের এ নির্দেশ দেন।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৩টি কেন্দ্রে ও এর আস পাশের এলাকায় বিপুর সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়।

নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ ও স্বতন্ত্র থেকে চারজন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে প্রথমবারের মতো বড় কোনো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে জানা গেছে, এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু, জাসদ মনোনীত প্রার্থী শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ। সাধারণ কাউন্সিলর ১শ’ ১৪জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এখানে মোট ভোটার ২লাখ ৭ হাজার ৫শ’৬৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২ হাজার ৪শ’ ৪৭জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৫হাজার ১শ’ ১৯জন।

এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরী জুরে টহলে নামে বিজিবি সদস্যরা। এদিকে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে মোট ২৪৫৬জন পুলিশ, ১২৩৬জন আনসার, ৬০০ জন বিজিবি এবং ৩৩৮জন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সাথে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩৬জন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন