• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে ৪ হাজার হেক্টর আমন ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে


নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৩:২০ পিএম
কুড়িগ্রামে ৪ হাজার হেক্টর আমন ও সবজি ক্ষেত পানির নিচে

কুড়িগ্রাম : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও কিছুটা কমেছে তিস্তা নদীর পানি। এতে করে প্রতিনিয়ত প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদ-নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছেন চরাঞ্চলের মানুষজন।

ইতিমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ২০৫৫ হেক্টর আমন ক্ষেত এবং চিনাবাদাম, মাসকলাই ও সবজিসহ ২০৫১ হেক্টর জমির ফসল এখন পানির নিচে। কৃষি বিভাগের আশঙ্কা প্লাবিত এলাকাগুলোয় ৬/৭ দিন পানি স্থায়ী হলে ফসল নষ্ট হয়ে যায়ে। তবে ৩/৪ দিনের মধ্যে পানি কমলে তাতে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে। অপরদিকে, নদ-নদী তীরবর্তী চরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটে পানি উঠায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ও নুন খাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, গত ৩ দিন ধরে যেভাবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে তাতে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছি।   

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক মো. মহির উদ্দিন জানান, আমরা চরাঞ্চলের কৃষকরা সেচ দিয়ে কিছু জমিতে আমন লাগিয়েছি। এসব আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গত তিনদিন ধরে নদীর পানি বাড়তেই আছে। পানি কমে না গেলে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে কথা হলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের র্নিবাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!