• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আস্থাহীনতার প্রমাণ


বিশেষ প্রতিবেদক অক্টোবর ৪, ২০১৮, ০৭:৩১ পিএম
কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আস্থাহীনতার প্রমাণ

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশী কূটনীতিকদেরকে ঘনঘন ব্রিফ করছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপি ছাড়াও জাতীয় ঐক্য এবং যুক্তফ্রন্টের নেতারাও মাঝে মধ্যেই বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এই তৎপরতাকে জনগণের প্রতি বিএনপির ‘আস্থাহীনতা’ হিসেবে দেখছেন। গত আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত কূটনীতিকদের নিয়মিত ব্রিফ এর বাইরেও বেশ কয়েকটি গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূতের বাসায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক হয়। আগেরদিন ৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করে।
২৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত। এক অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়।

এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব নিউউয়র্কে জাতিসংঘে একজন কর্মকর্তার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে কি আলোচনা হয় তা নিয়ে কোন পক্ষই গণমাধ্যমকে কিছু জানায়নি।

কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘দেশের মানুষ এবং নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা না রেখে এভাবে কূটনীতিকদের কাছে যাওয়া রাজনীতিবিদদের দেউলিয়াত্বই প্রমাণ করে।’

২০০৭ এর ১/১১-এর সময়ও এরকম তৎপরতা হয়েছিলো স্মরণ করিয়ে তারা বলেন, ‘অন্য দেশের শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। আর ২০০৭ আর ২০১৮ এর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা এক নয়।’

এ প্রসঙ্গে সাবেক কূটনীতিক এম জমির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিজেদের প্রতি আস্থা না থাকায়, দেশের প্রতি আস্থা না থাকায়, বাইরে গিয়ে সাহায্যের কথা বলার কারণে দেশের ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলে, ‘২০০৭ আর ২০১৮ সালের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। কখনওই বাইরের কোনও শক্তির সাহায্য নিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন আশা করা যায় না। জনগণের ওপর আস্থা রেখে এখানেই এর সমাধান করা উচিৎ।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!