• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কূটনৈতিক সংকট নিয়ে মুখ খুললেন কাতারের আমির


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২২, ২০১৭, ১২:৫২ পিএম
কূটনৈতিক সংকট নিয়ে মুখ খুললেন কাতারের আমির

ঢাকা: কাতারের ওপর আরোপিত সৌদি নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর অবরোধ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী বলে জানিয়েছেন কতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তবে তা অবশ্যই কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই হতে হবে।

গত ৫ জুন সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিসর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর শুক্রবার প্রথম এ বিষয়ে টেলিভিশনে বক্তব্য দেন শেখ তামিম। 

তিনি বলেন, চলমান সংকট নিরসনে আমাদের আলোচনার দার খোলা। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন সেই আলোচনা অবশ্যই সর্বভৌমত্ব বজায় রেখে করতে হবে।

শেখ তামিম আরো বলেন, তার দেশ নজিরবিহীন অপপ্রচারের শিকার। বক্তব্যে সংকটক নিরসনে কুয়েতের মধ্যস্থতা চেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং জার্মানির সহযোগিতারও প্রশংসা করেন কাতারি আমির।

সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, গত ২৩ মে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আর তার পরদিনই কাতার সরকারের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। হ্যাকাররা কাতারের সরকারি গণমাধ্যম কিউএনএ’র ওয়েবসাইটে একটি ভুয়া প্রতিবেদন যুক্ত করে দেয়। 

এই ঘটনার পর গত ৫ জুন ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থন’ দেয়ার অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব এবং তার মিত্র মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন। পরে এই তালিকায় যুক্ত হয় মালদ্বীপ এবং লিবিয়া ও ইয়েমেনের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার। অবশ্য ওই অভিযোগকে শুরু থেকেই ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে কাতারি প্রশাসন।

সম্পর্ক ছিন্নকারী চারটি আরব রাষ্ট্র ২২ জুন ১৩ দফা দাবির একটি তালিকা দেয় দোহাকে। এতে আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ আরও কিছু দাবি পূরণের কথা বলা হয়। ওইসব দাবির তালিকায় আরও আছে: কাতারে নির্মিত তুরস্কের সেনাঘাঁটি বন্ধ করা এবং যেসব ব্যক্তিকে তাদের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়া হয়েছে, তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়া।

শর্ত পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা দেয়া হয়। সে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ২ জুলাই দুইদিন সময় বাড়ানোর কথা জানায় সৌদি সূত্র। সেই সময়সীমাও শেষ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। সম্প্রতি অবশ্য আল জাজিরা বন্ধের দাবি থেকে সরে এসেছে আরব দেশগুলো।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!