• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
সাত খুন মামলার রায়

কেঁদে কেঁদে বিষণ্ন মুখে খাচ্ছেন মাছ-ভাত!


জেলা প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৭, ২০১৭, ১০:০৭ পিএম
কেঁদে কেঁদে বিষণ্ন মুখে খাচ্ছেন মাছ-ভাত!

ঢাকা: রায় শুনে দণ্ডপ্রাপ্তদের কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন, কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল ও কটূবাক্য বর্ষণ করেছেন অধস্তনরা। এছাড়া নূর হোসেনের গাড়িচালক স্যান্ডেল নিয়ে তেড়ে আসতে চেয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীদের দিকে। তবে আদালত চত্বর থেকে কারাগারে ফিরে যাওয়ার পর তারা থমকে গেছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রায় ঘোষণার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের নিয়ে যাওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে। কারাগারে পৌঁছেই তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতেই চলে যায় দিনভর। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকালেও কান্নায় ভেঙে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্তরা।

সবাইকে কারাবিধি অনুযায়ী পরানো হয়েছে পোশাক। সোমবার রাতে তাদের দেয়া হয়েছে সবজি, ডাল, ভাত ও মাছ। মঙ্গলবার সকালে রুটি ও গুড়। আর দুপুরে তারা খেয়েছেন সবজি, ভাত ও ডাল। কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির আসামিদের কেউ বের হতে পারবে না। কারো সঙ্গে দেখাও করতে পারবে না। তারপরেও দণ্ডপ্রাপ্তদের পক্ষে নেয়া হচ্ছে অপিলের প্রস্তুতি।

রায় ঘোষণার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ আসামিকে। এর মধ্যে ১২ জনই ফাঁসির আসামি। তাদের রাখা হয়েছে নির্ধারিত কনডেম সেলে। বাকি ৬ আসামিকে বিভিন্ন সেলে রাখা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বলেন, ‘এখানে কারাগারে আগেই ১৩ আসামি ছিলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের সঙ্গে নতুন করে গত সোমবার আরো ১২ জন যুক্ত হয়েছে। এ ২৫ জনকে ১৫টি কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সেলগুলোতে ২ থেকে ৩ জন করে এক সঙ্গে আছেন।

আসাদুর রহমান আরো বলেন, ‘কনডেম সেলে বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী যতটুকু সুবিধা পাওয়ার কথা এর থেকে বেশি কোনো সুবিধা পায়নি। আসামিরা সবাই সুস্থ আছে।

এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রায় ঘোষণার পর দুপুরে আনুসাঙ্গিক কাজ শেষে সাত খুনের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ২৩ আসামির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ১৮ ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ৫ জনকে পাঠানো হয়। কাশীমপুর কারাগারে পাঠানো দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নূর হোসেন, র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা (এমএম রানা) ও ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, সিপাহী আবু তৈয়্যব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দ বালা, র‌্যাবের সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, রহম আলী, আবুল বাশার।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন করপোরাল রুহুল আমিন (১০ বছর), এএসআই বজলুর রহমান (৭ বছর), হাবিলদার নাসির উদ্দিন (৭ বছর), এএসআই আবুল কালাম আজাদ (১০ বছর), সৈনিক নুরুজ্জামান (১০ বছর), কনস্টেবল বাবুল হাছান (১০)। 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!