• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেটে ছেঁটে সংক্ষেপে রেখেছেন ঋ সে


বিনোদন প্রতিবেদক মে ২৫, ২০১৮, ০৯:৫৭ পিএম
কেটে ছেঁটে সংক্ষেপে রেখেছেন ঋ সে

ঢাকা : কিন্তু আগেই আরেক ঋতুপর্ণা কলকাতা চলচ্চিত্র জগতে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে তাই নিজের নামটা কেটে ছেঁটে সংক্ষেপে রেখেছেন ঋ সেন। আর এ নামেই এখন তিনি পরিচিত। তারচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বিতর্কিত ও নিষিদ্ধ ‘গান্ডু’ সিনেমার নায়িকা।

ঋ সেন ২০০৩ সালে মিডিয়াপাড়াতে পা দেন। তখন থেকেই তাকে নিয়ে কিছুটা গুঞ্জন ছিল। কারণ ক্যারিয়ারের শুরু থেকে একটু খোলামেলা প্রকৃতির ছিলেন তিনি। আর এ বিষয়টাকে কিছুই মনে করতেন না ঋ। এরপর মডেল আর উপস্থাপনায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে। তার কিছুদিন পর তাকে দেখা যায় টিভি সিরিয়াল আর কলকাতার মিউজিক বাংলা টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায়।

এর মধ্যেই হঠাৎ করে পেয়ে যান পরিচালক কৌশিক মুখার্জির ‘তেপান্তরের মাঠ’ সিনেমার অফার। নায়িকা ভূমিকায় অভিনয়ও করেন তিনি কিন্তু সিনেমাটি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৯ সালে কৌশিক মুখার্জির আরো দুটি সিনেমা ‘লাভ ইন ইন্ডিয়া’ আর ‘বিষ’ এবং শ্যামল কর্মকারের ‘মেনি  স্টোরিস অব লাভ অ্যান্ড হেট’ সিনেমাতে নায়িকা ভূমিকায় অভিনয় করেন। কিন্তু সেগুলো মোটামুটি শালীনই ছিল। তেমন একটা খোলামেলা কোনো দৃশ্য ছিল না।

খোলামেলা ঋ যে এত খোলামেলা আর অগোছালো হয়ে যাবে তা আগে কেউ বুঝতেই পারেনি। তবে ২০১০ সালে কৌশিক মুখার্জির ‘গান্ডু’ সিনেমাতে অভিনয় করে ঋ শুধু পরিচিতিই পাননি। খোলামেলা সব দৃশ্যে কাঁপিয়েছেন পুরো কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। পলকে পলকে সব রগরগে দৃশ্য আর নগ্নতার শেষ পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি ‘গান্ডু’ সিনেমাতে। কলকাতা সিনেমায় ইতিহাস হয়ে থাকবে ঋ অভিনীত ‘গান্ডু’ সিনেমা। অবশ্য ভারতীয় সরকার এ সিনেমা নিষিদ্ধ করে। তাতে দর্শক আর ঋ সেনের ভক্তদের কিছু যায় আসে না। ‘গান্ডু’ সিনেমা ইন্টারনেটে ডাউনলোড করে অনেকে দেখেছে।

শুধু ভারতেই নয়, নিষিদ্ধ গান্ডু সিনেমা জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলাদেশসহ আশপাশের অনেক দেশে। এরপর ঋ এর ‘কয়েকটি মেয়ের গল্প’ সিনেমাতেও কয়েকটি রগরগে দৃশ্য ছিল। আর এরপর থেকে ঋ বলতে বোঝায় নগ্নতা আর অ্যাডাল্ট সব দৃশ্য। তবে ২০১৩ তিনটি সিনেমা নিয়ে ঋ আবার আলোচনার এসেছে।

অমিতাভ চক্রবর্তীর ‘কমিক্স সেক্স’, অনির্বাণ মুখার্জির ‘বয়ানকা পৃথিবী’ আর সবশেষে আবারো কৌশিক মুখার্জির ‘তাসের দেশ’। কৌশিক মুখার্জি অর্থাৎ কিউ এর তাসের দেশ নিষিদ্ধ হচ্ছে না সিনেমা হলে তবে গান্ডুর চেয়ে বেশি রগরগে দৃশ্য আছে এতে। আর ঋ এর ভক্তরা এখন ঋ এর নতুন নগ্নতা দেখার অপেক্ষায়।

ভারতসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ‘গান্ডু’ সিনেমা দিয়ে পরিচিত হয়েছেন কিউ এবং ঋ। এ সিনেমার নগ্নতা ও বাঙালির তথাকথিত শ্লীল-অশ্লীল ঘেরাটোপে নানান বাঁকেই ঘুরে বেড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়েছে হলে প্রদর্শনীর জন্য।

তবে জুটিয়েছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার। কিন্তু কলকাতার সিনেমা হলে নিষিদ্ধ থাকলেও গান্ডুকে থামানো যায়নি। থেমে থাকেনি পরিচালক কিউ। গান্ডুর মাধ্যমে মাতিয়ে দিয়ে এবার নেমেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তাসের দেশ’ নিয়ে। আর তাতেই আবারো প্রশ্নবিদ্ধ নতুন সিনেমাটি। কারণ যথারীতি এবারও অশ্লীলতার নানান অভিযোগ জুটেছে পরিচালকের ঝোলায়।

ছবিতে অবাধ সমকামিতা দেখানো হয়েছে। কিন্তু কিউ পরিচালিত আর ঋ অভিনীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তাসের দেশ নাটকের গল্প নিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে ছবিটি। ‘গান্ডু’র মতো এ ছবিটি নিয়েও মুক্তির আগেই বিভিন্ন মহলে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

রাবীন্দ্রিক সাঙ্কেতিকতায় আদৌ সমকামিতা লুকিয়ে ছিল কি না সে বিষয়টি নিয়েই নানাজনের রয়েছে নানা মত। অশ্লীলতার রানী ঋ যখন এ সিনেমার নায়িকার ভূমিকায় তখন কবিগুরুর শেষ সম্মান থাকবে তো? আর কিউ এবং ঋ তা কি আদৌ রাখবেন?

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!