• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেন ক্ষমা চাইলেন ড. জাফর ইকবাল?


শাবিপ্রবি প্রতিনিধি মার্চ ৩, ২০১৮, ১০:২৪ এএম
কেন ক্ষমা চাইলেন ড. জাফর ইকবাল?

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল

শাবিপ্রবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) র‌্যাগিংয়ের মতো ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা এবং এর শাস্তি কমানোর দাবিতে দিনভর আন্দোলনের ঘটনায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

শুক্রবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধনকালে ক্ষমা চান তিনি।

জাফর ইকবাল বলেন, ‘র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত এবং জড়িতদের শাস্তি কমানোর দাবিতে যারা আন্দোলন করছে তাদের শিক্ষক হিসেবে আমার লজ্জা হচ্ছে।  এই লজ্জাবোধ থেকে আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’

এ সময় র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শাবিপ্রবির যেসব ছাত্রদেরকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় শাস্তি দেয়া হয়েছে সেই শাস্তিটাও কম হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। এসব অপরাধীদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার করা উচিত ছিল।’

র‌্যাগিংয়ের দায়ে আজীবন বহিস্কৃতদের শাস্তি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পর যখন তাদেরকে শাস্তি দেয়া হলো তখন সেই শাস্তি গ্রহণ করে ওদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেটা না করে আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনে তারা শুধু ছাত্রদের কষ্ট দিচ্ছে না শিক্ষকদের সঙ্গেও বেয়াদবি করেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে জাফর ইকবাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেন এই ধরনের কুৎসিত আন্দোলনের কাছে মাথা নত না করে এবং শাস্তি বহাল রাখে, তাহলেই এই ধরনের শাস্তি কমে যাবে।’

সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছয় নবীন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং-এর ঘটনায় একই বিভাগের দুইজনকে আজীবন বহিষ্কারসহ আরো তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। আজীবন বহিষ্কারাদেশের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!