• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেসিসি নির্বাচনে তিন কেন্দ্রের অনিয়মের তদন্ত শুরু


খুলনা প্রতিনিধি মে ২৩, ২০১৮, ০১:৪৬ পিএম
কেসিসি নির্বাচনে তিন কেন্দ্রের অনিয়মের তদন্ত শুরু

খুলনা : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের তিন সদস্যের তদন্ত টিম। তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মঙ্গলবার (২২ মে) দফায় দফায় ডেকে কথা বলেছেন তদন্ত টিমের সদস্যরা।  

খুলনার বয়রাস্থ রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের সভাকক্ষে গতকাল সকাল থেকে সংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়। গত ১৫ মে’র কেসিসি নির্বাচনে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রে কী হয়েছিল, তদন্ত টিম সেটিই জানতে চেয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমানসহ অন্য দুই সদস্য উপ-সচিব মো. ফরহাদ হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী সচিব মো. শাহ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত কমিটির প্রধান মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত শেষে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। মঙ্গলবার (২২ মে) ও বুধবার (২৩ মে) তাদের খুলনায় অবস্থানের কথা রয়েছে।  

এদিকে, কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, বন্ধ হওয়া তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে তিনি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুনর্নির্বাচনের বিষয়টি জনসাধারণকে জানিয়েছেন।

পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য ওই তিনটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এমনকি প্রার্থীদের এজেন্টও পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ নতুন সেটআপ দিয়ে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কী পরিমাণ থাকবে, সেটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচন চলাকালে কেসিসির সাধারণ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (একাডেমিক ভবন-২) এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এ তিনটি কেন্দ্র দুটি সংরক্ষিত ও দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের আওতায় হলেও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোটের ব্যবধান বেশি থাকায় বর্তমান কাউন্সিলর মো. শমশের আলী মিন্টুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সাধারণ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন মুক্তার ছেলে মো. আরিফ হোসেন ও টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী বর্তমান কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এগিয়ে থাকেন।

এ ছাড়া সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাজেদা খাতুন (আনারস) ও রুমা খাতুন (চশমা) এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লুৎফুন নেছা (চশমা) ও রোকেয়া ফারুক (হেলিকপ্টার) এগিয়ে থাকেন। ৩০ মে’র নির্বাচনে মূলত সংরক্ষিত দুটি ওয়ার্ডের চারজন এবং সাধারণ একটি ওয়ার্ডের দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতার সুযোগ পাবেন বলেও রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!