• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কেয়া গ্রুপের মালিক খালেক গ্রেপ্তার


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২০, ২০১৭, ১০:১২ পিএম
কেয়া গ্রুপের মালিক খালেক গ্রেপ্তার

ঢাকা: ঋণ আত্মসাতের মামলায় কেয়া গ্রুপের মালিক আবদুল খালেক পাঠানকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২০ আগষ্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, কৃষি ব্যাংক থেকে কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের নামে ১১১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় খালেক পাঠানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার সকালে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। এর পরপরই দুদক কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য আরো বলেন, কেয়া গ্রুপের কর্ণধার খালেক কেয়া ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া এই মামলায় কেয়া ইয়ার্নের চেয়ারম্যান খালেদা পারভীন পলি, দুই পরিচালক মাসুম পাঠান ও তানসিন কেয়াসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। খালেদা, মাসুম ও তানসিন খালেকের তিন সন্তান।

মামলার অন্য আসামিরা হলো- কৃষি ব্যাংক কারওয়ান বাজার কর্পোরেট শাখার সাবেক এজিএম মো. সারোয়ার হোসেন, সাবেক ডিজিএম ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. জুবায়ের মনজুর, সাবেক এসপিও মো. আবুল হোসেন ও সাবেক এসপিও গোলাম রসুল।

কেয়া ইয়ার্ন মিলের কারখানটি গাজীপুরের কোনাবাড়ীর জরুনে অবস্থিত। এটি কাঁচা তুলা আমদানি করে সুতা উৎপাদন করে তৈরি পোশাক কারখানায় সরবরাহ করে থাকে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, কৃষি ব্যাংকটির ওই শাখা প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদিত সীমার বাইরে গিয়ে এবং ঋণের বিপরীতে কেনো জামানত না নিয়ে কেয়া ইয়ার্নকে একের পর এক ‘ফরেন ডেফার্ড এলসি’র বিলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। যেহেতু ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত নেয়া হয়নি, সেহেতু যার আদায় অনিশ্চিত।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আমদানী করা মালামাল দিয়ে উৎপাদিত পণ্য ব্যাংকটির মাধ্যমে রপ্তানি না করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

কেয়া কসমেটিকসের সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে শুধু তাদেরই ঋণের পরিমাণ সাড়ে ১৩ শো কোটি টাকার বেশি।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!