• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোনো ছাড় নয়, ভারত চাইলে যুদ্ধ: চীন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ৫, ২০১৭, ০৯:৪১ পিএম
কোনো ছাড় নয়, ভারত চাইলে যুদ্ধ: চীন

ঢাকা: ভারতের সৈন্যরা সিকিম সীমান্ত দিয়ে চীনের ভেতরে প্রবেশে করেছে। চীনের পক্ষ থেকে ভারতকে বলা হয়েছে সৈন্য ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হলেও তা হয়নি। ফলে গত ১৯ দিন ধরে সিকিম পয়েন্টে চীন ও ভারতের সৈন্যরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। ভারত জায়গা থেকে সড়তে না রাজ হলেও চীন যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই রকম টানটান উত্তেজনার মধ্যে বোমা ফাটালেন ভারতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত। এক প্রকারে বলেই ফেলেছেন, বল এখন ভারতের কোর্টে। সিকিম পয়েন্টে চীন বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না।

সিকিম সেক্টরে সীমান্ত অচলাবস্থা প্রশ্নে ভারতের আপসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে চীন। এর বদলে ‘মারাত্মক পরিস্থিতির’ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন। ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লু ঝুহুই বলেছেন, ‘বল এখন ভারতের কোর্টে। অচলাবস্থা নিরসনে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভারত সরকারকেই’।

মঙ্গলবার(৪ জুলাই) একটি সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেছেন। এসময়ে তিনি আরও বলেন, থাযথভাবে সুরাহা না করা হলে সঙ্ঘাতটি যুদ্ধে রূপ নিতে পারে। রাষ্ট্রীয় চীনা মিডিয়ার করা এমন মন্তব্যের রেশ ধরে পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লু বলেন, বিকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু (যুদ্ধ হবে কী হবে না) সেটা আপনাদের (ভারত) সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ খবর প্রকাশ করেছে।

চীন সরকার সঙ্ঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় দাবি করে লু জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের শান্তির পূর্ব শর্ত হলো ওই এলাকা থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করা। তিনি বলেন, ‘প্রথম বিষয় হলো, ওই এলাকা থেকে ভারতীয় সৈন্যকে বিনা শর্তে তাদের এলাকায় ফিরিয়ে নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ভারত ও চীনের মধ্যে যেকোনো অর্থপূর্ণ সংলাপের জন্য এটা হলো পূর্বশর্ত। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এবং আমাকে তা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করেছে। এবারই প্রথম ভারতীয় সৈন্যরা পারস্পরিকভাবে স্বীকৃত সীমান্ত অতিক্রম করে চীনা সীমান্তের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এতে করে চীনা ও ভারতীয় সৈন্যরা একেবারে মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা ১৯ দিন অতিক্রম করেছে। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।’

লু দাবি করেন, চীন-ভুটান সীমান্ত আলোচনায় হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই ভারতের, ভুটানের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক দাবি করার কোনো অধিকারও নেই ভারতের। এর সাথে ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতির গুরুতর সংশ্লিষ্ট রয়েছে মর্মে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে দাবি করেছে, লু সেটাও প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি বলেন, নিজের নিরাপত্তার অজুহাতে অন্য দেশের আঞ্চলিক সীমালঙ্ঘন করতে পারে না ভারত। এমনটা করা হলে বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করার জন্য ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তার সৈন্য এখনই প্রত্যাহার করা। ভারত ও চীন উভয়েই বলে আসছে, অন্য দেশের সৈন্যরা তাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। দোকলাম এলাকায় চীনের একটি রাস্তা নির্মাণে ভারতীয় সেনাবাহিনী বাধা দেয়ার পর থেকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা বন্ধ রয়েছে।

নয়া দিল্লি দাবি করেছে, তারা চীনকে সিকিম-ভুটান-তিব্বত ত্রি-সংযোগস্থলে মোটর চলাচলে কোনো রাস্তা নির্মাণ করতে দেবে না। গত শুক্রবার সিকিমের নাথু লা পাস দিয়ে কৈলাশ মানস সরোবর যাত্রা বাতিল করা হয়। সীমান্তে ভারত ও চীনা সৈন্যরা মুখোমুখি অবস্থান করছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!