• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির মাংস সংরক্ষণে ভুল করলে হয় ক্ষতি!


লাইফস্টাইল ডেস্ক আগস্ট ২৮, ২০১৭, ১২:২৯ পিএম
কোরবানির মাংস সংরক্ষণে ভুল করলে হয় ক্ষতি!

ফাইল ছবি

ঢাকা: কোরবানির ঈদে মাংস রান্না ও রক্ষণাবেক্ষণে ভুল করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। এসব নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতাল, ঢাকার প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।

দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা:
কোরবানির পর অনেকেই মাংসের পরিমাণ বেশি হওয়ায় দীর্ঘদিন ডিপ ফ্রিজে রেখে মাংস খান। এতে নানা ধরনের রোগবালাই তৈরি হতে পারে। অথচ সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফ্রিজে মাংস রেখে খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেন না। ফ্রেশ গরুর মাংস যত দ্রুত সম্ভব সংরক্ষণ করতে হয়।  

ফ্রেশ গরুর মাংস রেফ্রিজারেটরে এক বা দুই দিন রাখা যায় এবং তা ডিপ ফ্রিজে তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তবে কলিজা বেশি দিন ফ্রিজে না রেখে বরং দু-এক দিনের মধ্যে রান্না করে খেয়ে ফেলা ভালো। যদিও তা ডিপ ফ্রিজে এক-দুই মাস রেখেও খাওয়া যায়।

গরুর মাংস শুঁটকি করা:
গরুর মাংস শুঁটকি করে রাখা অনেক পুরনো পদ্ধতি, যা দেশের অনেক এলাকার লোকজন করে থাকেন। অনেকে আবার গরুর মাংস কেটে হলুদ ও লবণ দিয়ে শুকিয়ে শুঁটকি করে অনেক দিন ধরে খান।

এটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। মাংস অনেক শুকানোর ফলে পুষ্টির উপাদানের পরিবর্তন হয়। এ ছাড়া এ ধরনের শুঁটকি হজমেও অনেকের সমস্যা হয়। তা ছাড়া সঠিক তাপমাত্রায়, সঠিক জায়গায় শুঁটকি করা না হলে ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য জীবাণু শুঁটকিতে আসতে পারে। অনেক সময় বাইরে শুকানোর সময় পাখি বা পোকা-মাকড়ের সংস্পর্শে এ ধরনের শুঁটকিতে নানা জীবাণুও প্রবেশ করে। তাই গরুর মাংস শুঁটকি না করে বরং রান্না করেই খান।

গরুর মাংসের কাবাব:
চর্বির ভয়ে অনেকেই গরুর মাংসের কাবাব খান। বিশেষ করে মাংস কয়লা দিয়ে ঝলসিয়ে খান। এতে চর্বির পরিমাণ কমে গেলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অনেক অপচয় হয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর মতো উপাদান মাংসে তৈরি হয়। মাংস পুড়িয়ে খাওয়া খুব বেশি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার ঠিকমতো পোড়ানো না হলে তাতে কিছু কাঁচা কাঁচা থেকে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

গরুর মাংস দীর্ঘক্ষণ বাইরে রাখা:
কোরবানিতেই শুধু নয়, অন্যান্য সময় অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। ধীরে-সুস্থে মাংস প্যাকেট করে রাখবেন ভেবে অনেকেই বাইরে ফেলে রাখেন। জেনে রাখা দরকার, কাঁচা মাংস বাইরে কম বা বেশি তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ ফেলে রাখলে পুষ্টিমানের অনেক ক্ষতি হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই মাংস খাওয়ার অযোগ্যও হয়ে যায়। তাই মাংস কাটার পর কোনোভাবেই দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখবেন না। বরং ঠাণ্ডা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ৩০ মিনিট পর পর পানি পাল্টাতে পারলে ভালো। আবার ডিপ ফ্রিজে রাখার আগে রেফ্রিজারেটরেও কিছু সময় রেখে দিতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় মাংস ডিপ ফ্রিজে দ্রুত রেখে দিতে পারলে। এতে পুষ্টিমান ঠিক থাকে।

চর্বিযুক্ত মাংস:
বেশি চর্বি আছে এমন বড় গরু কিনতে এবং চর্বিযুক্ত মাংস খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। মাংসে চর্বি থাকলে তা মজাদার ও সুস্বাদু হয়। অথচ এই চর্বিতে রয়েছে সম্পৃক্ত চর্বি, যা অতিরিক্ত খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই চর্বিযুক্ত মাংসের চেয়ে অল্পবয়সী পশুর কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিবিহীন মাংস খাওয়া ভালো।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!