• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
মিউনিখে শেখ হাসিনা

কোর্টে দোষী প্রমাণিত হলে খালেদার শাস্তি হবেই


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ১০:৩৪ এএম
কোর্টে দোষী প্রমাণিত হলে খালেদার শাস্তি হবেই

ঢাকা  : খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হতে পারবে না বলে বিএনপির হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবেই। যদি কোর্টের কাছে প্রমাণ থাকে চুরি করেছে, তাহলে শাস্তি হবে। সেজন্য তারা ইলেকশনই হতে দেবে না। একটা চোর এতিমের টাকা যে চুরি করে খায় তাকে রক্ষার জন্য ইলেকশন হতে দেবে না- কত আবদারের কথা, কত আহ্লাদের কথা! এত আহ্লাদ যখন, তখন গরিব মানুষের টাকা কয়টা দিয়ে দিলেই হতো।’

২০০১-০৬ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির দুই মামলা এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলা দুটি চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে। 

মিউনিখের ম্যারিয়ট হোটেলে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘চুরি করে তো শত শত কোটি টাকা বানিয়েছে। চুরির ওই অর্থ তার ছেলে তারেক রহমান ও মোসাদ্দেক আলী ফালুর কাছে গচ্ছিত আছে।’

এই মামলায় বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা এনে উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা মামলার জন্য হাইকোর্টে ৫৩/৫৪ বার পিটিশন করেছে। এখন মামলা থেকে পালায়। মিথ্যা মামলা হলে পালানোর কী দরকার? এটা তো পরিষ্কার- এতিমখানার টাকা মেরে খেয়েছে। এটা তো কাগজপত্রে আছে।’

বিএনপি নেত্রী ‘পাকিস্তানের সুরে কথা বলেন’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তান যে সুরে কথা বলে, খালেদা জিয়াও সে সুরে কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুখেও একই কথা শুনি। ৩০ লাখ মানুষ নাকি মারা যায়নি। সেটা নিয়েও উনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। পাকিস্তানিরা যে সুরে কথা বলেন, উনি সেই সুরে সুর দেন, কেন?’

নতুন নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের জন্য আমাদের তালিকা থেকে একজন নিয়েছে। বিএনপি তালিকা দিয়েছে, সেখান থেকেও একজন নিয়েছে। তাতেও দোষ। সবকিছুতেই দোষ। তারা সবকিছুতেই নাখোশ। তাদের সবকিছুতেই- মানি না, মানব না। জামায়াতে ইসলামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি বলে বিএনপিও ওই নির্বাচনে যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘নিজেরা নির্বাচন না করে যে ভুল করেছে, তার খেসারত তার দল দেবে। বাংলার জনগণ কেন দেবে?’

মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ থেকে এখন কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার। কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। এর বিরুদ্ধে আমরা যা করার করব।’ অনুষ্ঠানে জার্মানি ছাড়াও ইতালি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন ও নরওয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা অংশ নেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই
 

Wordbridge School
Link copied!