• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোর্টে ফিরছেন শারাপোভা


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ০৪:৫৬ পিএম
কোর্টে ফিরছেন শারাপোভা

ঢাকা: ২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডনের শিরোপা জয় করে পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলেন মারিয়া শারাপোভা। তখন থেকেই দিনে দিনে বাড়তে থাকে তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে সেরেনার কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেন। কিন্তু ঐ আসরেই তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণের অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে যা প্রমানিতও হয়। এরপরের ঘটনা সবার জানা। ৩০ বছর বয়সী এই রাশিয়ান খেলোয়াড়েরর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপা করেছিল ডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। অবশেষে দীর্ঘ ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কোর্টে ফিরছেন এই রুশ তারকা।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) থেকে শুরু হতে যাওয়া স্টুটগার্ট ওপেনের মাধ্যমে কোর্টে ফিরছেন এই টেনিস সুন্দরী। তবে কোর্টে শারাপোভার প্রত্যাবর্তন হচ্ছে ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে। প্রথম ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ ইতালীয় রবার্তা ভিঞ্চি। বিশ্বের এক নম্বর তারকা সেরেনা উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ঠদের ধারনা শিরোপার অন্যতম দাবীদার হিসেবেই শারাপোভা নিজেকে প্রস্তুত করে কোর্টে ফিরছেন।

মাত্র চার বছর বয়সে সোচিতে প্রথম র‌্যাকেট হাতে তুলে নিয়েছিলেন সাইবেরিয়ায় জন্মগ্রহণ করা শারাপোভা। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল দূর্ঘটনার পরে শারাপোভার পুরো পরিবার সোচিতে স্থায়ী হয়। মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার অনুপ্রেরণায় ফ্লোরিডায় নিক বোলেতিয়েরির একাডেমীতে অনুশীলনের সুযোগ পান। সেখানেই তিনি আন্দ্রে আগাসী ও মনিকা সেলেসদের মত খেলোয়াড়দের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন।

২০০১ সালের মাত্র ১৪ বছর বয়সে পেশাদার টেনিস সার্কিটে প্রবেশ করেন। দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে নাম লেখান। জাপান ও কুইবেকে তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম ট্যুর শিরোপা জিতেছিলেন। এরপর ২০০৪ সালে সেরেনাকে পরাজিত করে উইম্বলডনের শিরোপা জয় যেন স্বপ্ন সত্যি হবার মতই ঘটনা ছিল। এক বছর পরে প্রথম রাশিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটি দখল করেন। ২০০৬ সলে ইউএস ওপেন জয়ের পরেই মূলত এই স্বীকৃতি আসে। তবে ২০০৭ ও ২০০৮ সালের প্রায় পুরোটাই কাঁধের ইনজুরির কারনে ক্যারিয়ারে ব্যাঘাত ঘটেছে। যদিও ২০০৮ এর শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন। কিন্তু কাঁধে দ্বিতীয়বারের মত ইনজুরির কারনে মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগটা খেলতেই পারেননি। এর মধ্যে ছিল ইএএস ওপেন ও বেইজিং অলিম্পিক।

দশ মাসের অনুপস্থিতির কারনে তিনি র‌্যাংকিংয়ের ১২৬তম স্থানে নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১২ সালে আবারো নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ঐ বছরেই ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের মাধ্যমে বিশ্বের দশম খেলোয়াড় হিসেবে একই বছর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পাশাপাশি অলিম্পিকে রৌপ্য পদক জয় করেন। ২০১৪ সালে আবারো ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন। কিন্তু সেটাও ছিল ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার পরে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!