• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোহলি-ধাওয়ানের কাঁধে চড়ে নেহরার বিদায়


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ২, ২০১৭, ১২:৩৭ পিএম
কোহলি-ধাওয়ানের কাঁধে চড়ে নেহরার বিদায়

ঢাকা: দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ৫৩ রানের জয় ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে বাঁ-হাতী পেসার আশিস নেহরার বিদায়। ঘরের মাঠে ১৯ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের যবনিকা ঘটিয়েছেন দিল্লির পেসার। সতীর্থদের কাঁধে চড়ে বিদায় নেওয়া ক’জনের ভাগ্যে জোটে। কোহলি-ধাওয়ানদের কাঁধে চড়ে গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করলেন নেহরা। জীবনের শেষ ম্যাচে সতীর্থরা তাঁকে জয়ই উপহার দিয়েছেন। যদিও ৪ ওভার বল ২৯ রান দিয়ে উইকেটশুণ্য ছিলেন নেহরা।

দু’ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের সৌজন্যে ভারত আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটের বিনিময়ে তোলে ২০২ রান। রোহিত ৫৫ আর ধাওয়ান ৫২ বল খেলে দু’জনই ৮০ রান করে করেন। তিন ছক্কায় ১১ বলে ২৬ রান করেছেন কোহলি। জবাবে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে থামতে হয়েছে।সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন টম ল্যাথাম।   

দিল্লিতে ঘরের মাঠে নেহরা যে তাঁর জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলবেন, সেই ইচ্ছা আগে থেকেই প্রকাশ করেছিলেন। এ কারণেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাঁকে রাখা হয়। নেহরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কোনো ধরনের ক্রিকেটেই আর খেলবেন না।

এ দিন ম্যাচ শুরুর আগে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকেও বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয় নেহরাকে। তার পর আবেগপূর্ণ ভাষায় বিরাট কোহলি বলেন, ‘ফাস্ট বোলার হিসেবে উনিশ বছর খেলে যাওয়াটা একটা বড় প্রাপ্তি। সবচেয়ে চতুর ক্রিকেটারদের একজন নেহরা। সবচেয়ে যেটা ভালো ব্যাপার, তা হচ্ছে, তরুণ ক্রিকেটারদের সব সময় সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিল ও।’

বেড়ে ওঠার পথে দিল্লির হয়ে কোহলি প্রচুর ক্রিকেট খেলেছেন নেহরার সঙ্গে। ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘ওকে ক্রিকেট ছাড়তে দেখাটা কষ্টের। কিন্তু ঘরের মাঠে ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারছে এটা নিশ্চয়ই ওর কাছে সুখকর।’ ম্যাচ শুরুর আগে দলের দুই সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি তাঁর হাতে তুলে দেন বিশেষ স্মারক। কোহলির মতোই ধোনির অধিনয়াকত্বেও প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন নেহরা। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপজয়ী ধোনির দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কলম্বো টেস্টে অভিষেক হয়েছিল নেহরার। তখন ভারতের অধিনায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন। তার পর নেহরা খেলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ডারবানে ইংল্যান্ডকে হারানোর মূলে ছিল নেহরার সেই বিষাক্ত সুইং বোলিং। সেদিন ৬ উইকেট নিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। টানা চোট-আঘাতের জন্য বারবার ধাক্কা খেয়েছে নেহরার। ১৭টি টেস্ট খেলে তুলে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট। ১২০টি ওয়ানডে খেলে পেয়েছেন ১৫৭টি উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২৬ ম্যাচে রয়েছে ৩৪টি উইকেট।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/

Wordbridge School
Link copied!