• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হোক’


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ২১, ২০১৭, ০৬:২৫ পিএম
‘কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হোক’

ঢাকা: পাকিস্তানের কাছ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা খোয়ানোর ক্ষত এখনও তাজা। এরমধ্যেই মড়ার উপর খড়ার ঘাঁ হিসেবে সামনে এল কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলে সরে পদত্যাগ। বিষয়টি কোনো ভাবেই মানতে পারেছেন না ভারতের সমর্থকেরা। এ জন্য অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দায়ি করছেন অনেকেই।

গত কিছু দিন ধরেই আলোচনায় ছিল ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও কোচ অনিল কুম্বলের দ্বন্দ্ব। কুম্বলের কাজের ধরন যে কোহলি পছন্দ করেন না, তা জানতেন ক্রিকেট মহলের অনেকেই। বিষয়টি মাথায় রেখে সম্প্রতি কোচ অনিক কুম্বলে এবং অধিনায়ক কোহলিকে নিয়ে আলোচনায় বসে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ওই সভায় থাকা এক কর্মকর্তা জানান, কুম্বলে ও কোহলিকে নিয়ে বোর্ডের বৈঠক মোটেও আনন্দদায়ক ছিল না। নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন কোহলি; সেটাই হয়তো কুম্বলেকে তার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে।

খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘ দিন ভারতের ক্রিকেটের সৈনিক ছিলেন অনিল কুম্বলে। ভারতের ক্রিকেটের দুঃসময়ে অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে দলকে স্থিতিশিলতা এনে দিয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়। কোচ হিসেবে দলকে এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য সাফল্য। গত এক বছরে দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন। তার অধীনে পাঁচটি টেস্ট সিরিজে খেলে ভারতীয় দল, যার মধ্যে পাঁচটিতেই জয় লাভ করে ভারত। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির রেকর্ডটাও কুম্বলের পক্ষেই কথা।

তারপরও সড়ে দাঁড়াতে হয়েছে নিপাট এই ভদ্রলোককে। এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দেশটির সমর্থকরা। যেটি ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক যোগায়োগের মাধ্যমে। ফেসবুক ও টুইটারে নানা মন্তব্য করছে তারা। অনেকেই এজন্য অধিনায়ক কোহলিকে দায়ি করছেন।

সুরেশ নামের এক সমর্থক টুইটারে লিখেছেন, ‘যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে খেলা আর দেশ অনেক বড়। আমি কোহলিকে এখনই সরানোর দাবি তুলছি।’

‘কোহলি খুবই উদ্ধত। এই প্রজন্মের খেলোয়াড়েরা খুবই বেয়াদব। তারা সিনিয়রদের কাউকে সম্মান করে না। সব সময় নিজের সুবিধাটা দেখে। এমন মন্তব্য করেছেন  হিমাদ্রি নামের এক সমর্থক।’

কেউ মন্তব্য করেছেন, কোহলিকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হোক। অধিনায়কের পদে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ফিরিয়ে আনার পক্ষে কেউ কেউ। কেউ নতুন অধিনায়ক হিসেবে অজিঙ্কা রাহানের নামও প্রস্তাব করেছেন।

দুই একজন কোহলির পক্ষেও লিখেছেন। এক সমর্থক লিখেছেন, পুরো ঘটনা না জেনে শুধু এক দিক জেনে মন্তব্য করা উচিৎ না। শুধু কুম্বলের দিকটাই সবাই দেখছে। কোহলিরও নিশ্চয়ই কোনো যুক্তি বা বক্তব্য আছে।

কুম্বলের কাজের ধরন কোহলি পছন্দ করেন না। এ সম্পর্কে হানজলা রহমান নামের একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘ব্যাপারটা দাঁড়াল এমন, আপনি আপনার টিউশন শিক্ষককে ছাঁটাই করে দিলেন, কারণ তাঁর অপরাধ তিনি খুব সকালে পড়াতে আসেন।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!