• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্যান্সারের পর আরো জটিল রোগে যুবরাজ!


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ২০, ২০১৭, ০৬:৪৫ পিএম
ক্যান্সারের পর আরো জটিল রোগে যুবরাজ!

ঢাকা: মনে বিশ্বাস থাকলে নাকি মৃত্যুকেও জয় করা যায়। নিশ্চিত মরণ জেনেও যারা অকপটে লড়ে যান তারাই তো প্রকৃত বীর। ভারতের দ্বিতীয়বারের বিশ্বকাপ জয়ে বলতে গেলে একাই লড়েছিলেন। কে জানত জীবনযুদ্ধেও একদিন লড়তে হবে এমনভাবে। কিন্তু হার মানতে তিনি শেখেননি, জীবন তাকে যতই ভয় দেখাক তাতে কী! তাই তার সাহস এবং লড়াকু মনোভাব দেখে মৃত্যুও পিছু হটল। সেখানে খেলার মাঠে ফেরার লড়াইটা এ আর এমন কী! সব বাধা পেরিয়ে ঠিকই ফিরেছিলেন ক্রিকেটে। মরনঘাতী ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে বিজয়ীর বেশে ভারতের জাতীয় দলে ফিরেছেন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং।

জীবনযুদ্ধের লড়াইটা তার এখনো থামেনি, ক্যান্সার নামক মরণব্যাধির চিকিৎসা শেষে নতুন করে জীবন সাজাতে ব্যস্ত যুবরাজ সিং। সব অনিশ্চয়তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলছেন আগামীর পথে। ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করে আসা যুবরাজ নিজেও সেকথা একটা সময় বুঝতে পেরেছিলেন। কঠিন থেকে কঠিনতর অনুশীলনে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জহির খানকে সঙ্গে করে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন ফিটনেস ট্রেনিং করতে। কিন্তু, মাঠে নামলেই যেন ছন্দটা কেটে যাচ্ছিলো। ব্যাট আর বলের মধ্যে যেন সুর বাঁধতে পারছিলেন না যুবরাজ। এই ঘটনার যত পুনরাবৃত্তি হচ্ছিল ততই তিনি প্রবল মানসিক চাপে পড়ে যাচ্ছিলেন।

কটকে দুরন্ত অর্ধশতকের পরে নিজেই সেকথা জানিয়েছেন যুবরাজ। জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি মানসিক চাপের স্বীকার হচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিল ক্যানসারের থেকেও কঠিন হয়ে গিয়েছে মাঠে নেমে পারফর্ম করাটা। মানসিক হতাশা তাকে যেন ছিবড়ে করে দিচ্ছিল। আতঙ্কে রাতে চোখের পাতা এক করতে পারতেন না। মনখারাপ হয়ে যেত। লাগাতার খারাপ পারফরম্যান্স এবং দল থেকে সমানে বাদ পড়তে থাকায় নিউজ পেপার পড়া, টিভি দেখা সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুধু পরিবার আর নিজের মধ্যেই সারাক্ষণ গুটিয়ে থাকতেন। আর কোনও মতে মনের জোরে ডুবে থাকতেন কঠোর অনুশীলনে। কারোর কথায় কান দেবেন না বলেও মনে মনে শপথ নিয়েছিলেন। এরই ফল এবার রঞ্জি ট্রফিতে পেয়েছেন যুবরাজ। একের পর এক ম্যাচে রান করেছেন। মাঠে সেই যেন পুরনো যুবরাজ। এবার যে তিনি জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করতে পারবেন, তা নাকি বুঝতে পারছিলেন। তার এই বিশ্বাস এবং কঠোর সাধনা অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেছে, তা ভেবে বৃহস্পতিবার চোখে জল এসে গিয়েছিল যুবরাজের।

ভারতীয় ক্রিকেটের আর এক প্রতিভা যোগরাজ সিংহ তার ছেলে যুবরাজকে একটা সময় বলেছিলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটে তুমি শচীন হতে পারবে না সত্যি, কিন্তু যুবরাজ সিং তো হতে পারো।’ কথা রেখেছেন যুবরাজ। তিনি যে সহজে হার মানতে রাজি নন, তা ৩৫ বছরে এসে কটকের বারাবাটি স্টেডিয়ামে গত ১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে প্রমাণ করে দিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!