ক্রিকেটার সানিকে যৌতুকের মামলা থেকে অব্যাহতি

ঢাকা: গত ১৭ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানি এবং তার মা নার্গিস আক্তারকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল পুলিশ। তিন মাসেরও বেশি সময় পর বিষয়টি আমলে নিয়ে মা ও ছেলেকে যৌতুকের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার ৪নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাবাসুম ইসলাম তাদের এই আদেশ দেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েচিল, আরাফাত সানির সঙ্গে মামলার বাদীর যে বিবাহ ও কাবিন হয়েছে তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সানি ও নাসরিন একটি হোটেলে যাতায়াত করতেন। যে রেস্টুরেন্টে তাদের বিয়ে হয়েছে তার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। সানির মা নার্গিস সুলতানা লোকজনকে নিয়ে মামলার বাদীকে মারধরের কথা বলেছেন তারও কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

অতএব মামলার বাদী ভুল তথ্য প্রদান করে মামলাটি দায়ের করেছেন। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০১৩) এর ১১(গ) ৩০ ধারা মতে, আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বরে ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে ৫ লাখ এক টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর ক্রিকেটার আরাফাত সানি নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তার স্ত্রীকে মারধর করেন এবং গালিগালাজ করে ভাড়া বাসায় রেখে যান।

পরবর্তীতে নাসরিন সানির সঙ্গে দেখা করলে সানি তাকে বলেন, যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এবং এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি খারাপ হবে। কারণ, তোমার কিছু অশ্লীল ছবি আমার মোবাইলে রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই