• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটের সুদর্শন এগার


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ২৩, ২০১৬, ০২:২০ পিএম
ক্রিকেটের সুদর্শন এগার

ক্রিকেট কী শুধুই একটি খেলা? বর্তমান যুগের কথাই ধরুন- ভারতের মতো দেশে এখন ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদেরকে রীতিমতো পূজা করা হয়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং এর গণ্ডি পেরিয়ে ক্রিকেট এখন বড়সড় এক ‘বাণিজ্যিক’ ক্ষেত্রও বটে।

বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির ব্যাপক প্রচলনের পর বাণিজ্যিক ক্রিকেট এখন আর কোন অপরিচিত বিষয় নয়। বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের জগতেও তাই ক্রিকেটারদের আজকাল খুব কদর। শুধু মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে একজন ক্রিকেটারকে বিচার করার দিন ও বোধহয় শেষ হয়ে আসছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমের কল্যাণে এখন ব্যাটিং, বোলিং ছাড়াও ‘আকর্ষণীয়’ চেহারাও এখন জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় মানদণ্ড। যুগে যুগে তরুণীদের বুকে কাঁপন ধরানো অনেক সুদর্শন ক্রিকেটারই মাতিয়ে গেছেন ২২ গজের পিচ। চলুন তাদের মধ্য থেকে দেখে নেওয়া যাক সর্বকালের সেরা ‘সুদর্শন ক্রিকেটারদের একাদশ’:

শহীদ আফ্রিদি : একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক। একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও বহুদিন ছিল তার দখলে। ধুন্ধুমার ব্যাটিং এর জন্য নামের আগে ‘বুম বুম’ উপাধি। বল হাতে লেগস্পিন বিষে ব্যাটসম্যান বধেও সমানভাবে দক্ষ। পাকিস্তানকে জিতিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তিনি পাকিস্তানের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৫০০ বেশি ম্যাচ খেলা সাবেক অধিনায়ক ‘শহীদ খান আফ্রিদি’। তার খোঁচা খোঁচা দাড়ি আর হাসিমাখা মুখ কেড়ে নিয়েছে লাখো তরুণীর ঘুম। অনুমিতভাবেই স্টার মার্কেটিং, হাবিব ব্যাংক, পেপসি, ও মোবাইল, মোবিলিংক, স্যামসাং, হেয়ার মোবাইল এর মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত তিনি। দেখা গেছে এসব প্রতিষ্ঠানের টিভি বিজ্ঞাপনেও।

অ্যালিস্টার কুক : বয়স মাত্র ৩১। এরই মধ্যে নামের পাশে জ্বল জ্বল করছে দশ হাজার টেস্ট রান। ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের পর থেকেই ইংল্যান্ড টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ অ্যালিস্টার কুক। নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন তাও অনেকদিন হয়ে গেল। ইংল্যান্ডের গ্লুস্টারে জন্ম নেওয়া অসম্ভব সুন্দর চোখের অধিকারী সুদর্শন এই ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বনে গেলেও বোধহয় অবাক হবার কিছু থাকবে না।

আহমেদ শেহজাদ : পাকিস্তানী মেয়েদের হার্টথ্রোব হিরো আহমেদ শেহজাদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার শুরুটাও হয়েছিল ঠিক চেহারার মতই জ্বলজ্বলে। ২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো খেলার পুরস্কারস্বরুপ এর পরপরই ডাক পান জাতীয় দলে। এক বছরের মধ্যেই একদিনের ও টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক। তবে মাঝে মধ্যে ক্রিকেট বিশ্ব তার উইলো’র ঝলকানি দেখলেও নিজেকে ধারাবাহিক প্রমাণ করতে পারেননি এখনো। দলের বাইরেও আছেন বেশ কিছুদিন হয়ে গেল।

মাইকেল ক্লার্ক : ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। এক যুগের ক্যারিয়ার শেষে ২০১৫ সালে অবসর নেওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা মাইকেল ক্লার্ক। টেস্টে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ চারটি ডবল সেঞ্চুরির রেকর্ডের মালিক ক্লার্ক অন্যতম ধনী ক্রিকেটারদের একজনও বটে।

বিরাট কোহলি : বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। এরই মধ্যে তাকে তুলনা করা হচ্ছে শচীন টেন্ডুলকার, ভিভ রিচার্ডসের মত গ্রেটদের সাথে। টেস্ট, ওডিআই কিংবা টি-টোয়েন্টিতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েই চলেছেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। এ তো গেলো মাঠের খবর। জানেন কী, আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা কিংবা অন্য কাজে তাকে একদিনের জন্য পেতে গেলে কি পরিমান পয়সা গুনতে হবে আপনাকে? বাংলাদেশি টাকায় প্রায় তিন কোটি টাকা। সংখ্যায় যেটি শচীন টেন্ডুলকারের চেয়েও বেশি।

কেভিন পিটারসন : দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভুত এই ইংলিশ ক্রিকেটার বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম স্টাইলিশ ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর থেকেই বিতর্ককে সঙ্গী করে চলা পিটারসন জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে আছেন অনেকদিন ধরেই। বলতে গেলে জাতীয় দলে ফেরার পথ একরকম বন্ধই হয়ে গেছে তার। কিন্তু তারপরও তিনি ক্রিকেট বিশ্বের পরিচিত মুখগুলোর একটি।

ডেভিড গাওয়ার : ইংল্যান্ডের হয়ে ১১৭ টেস্টে ৮০০০ এর বেশি রান করেছেন প্রায় ৪৪ গড়ে। নিজের সময়ে ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম পরিচিত মুখ ছিলেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গাওয়ার ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

ইমরান খান : পাকিস্তান ক্রিকেটের আজকের অবস্থানের পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্বদানকারী চিরতরুণ ইমরান খান। বর্তমানে তেহরিক-ই-ইনসাফ নামে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ইমরান খান সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজনও বটে।

ব্রেট লি : সর্বকালের সবচেয়ে দ্রুততম বোলারদের একজন ব্রেট লি’র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০০০ সালে। তর্কযোগ্যভাবে সবচেয়ে সুদর্শন ক্রিকেটারও বলা যায় ব্রেট লিকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে ৩১০ ও ওয়ানডেতে ৩৮০ উইকেটের মালিক ব্রেট লি ক্রিকেট ছাড়ার পর সম্প্রতি নাম লিখিয়েছেন রূপালী পর্দার জগতে। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে ব্রেট লি অভিনীত ‘আনইন্ডিয়ান’ নামে একটি সিনেমাও।

জেমস অ্যান্ডারসন : ১১৭ টেস্টে ৪৬৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ঝুলিতে আছে ২৬৯টি ওয়ানডে উইকেটও। তাকে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পেসার বললেও বোধহয় অত্যুক্তি করা হবে না। দুই দিকেই বলকে সুইং করানোর ক্ষমতা তার অসাধারণ দক্ষতারই পরিচায়ক। এই সুদর্শন ক্রিকেটার বর্তমানে Brut sports style এর শুভেচ্ছাদূত।

শেন বন্ড : নিজের সেরা সময়ে এই কিউই পেসার ছিলেন ব্যাটসম্যানদের এক দুঃস্বপ্নের নাম। ইনজুরির কারণে খুব বেশিদিন খেলা চালিয়ে না যেতে পারলেও হ্যাডলি-উত্তর যুগে তাকেই সেরা কিউই বোলার মানা হয়।  নিজের সময়ে অন্যতম সেরা স্টাইলিশ এই বোলার ছিলেন সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলারদের একজন। শেন বন্ড বর্তমানে আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বোলিং কোচ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!