• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রেতাশূন্য কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যে বাড়তি দাম


নিজস্ব প্রতিবেদক  জুলাই ১০, ২০১৬, ০৫:৪৪ পিএম
ক্রেতাশূন্য কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যে বাড়তি দাম

ঈদের টানা ৯ দিন ছুটি শেষে রোববার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিজীবীদের প্রথম কর্মদিবস। তবে ছুটির রেশ কাটেনি এখনও। এখনও ফেরেনি অধিকাংশ নগরবাসী। তাই তো কাঁচাবাজারের বিকিকিনিতে এখনও ভাটার টান।

রোববার (১০ জুলাই) রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারসহ আশপাশের বেশকিছু খুচরা বাজার ঘুরে কোথাও ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে সরবরাহ ঘাটতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ কিছু কিছু সবজির দাম বাড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি ৬০ টাকায় কাঁচামরিচ, দেশি শসা ৫০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৩০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা,পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গোল ও লম্বা বেগুন ৫০ টাকা এবং তাল বেগুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ঈদের আগের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে।

প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা দরে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা এবং চীনের রসুন ১৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা এবং আদা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আদা ছাড়া অন্য সব পণ্যের দামই কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে।

শান্তিনগর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা বাদল হোসেন বলেন, ঈদের দিন থেকে বিক্রি নেই বললেই চলে। তবে প্রথম ৩ দিনের তুলনায় আজকের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

ঈদের পর আজকেই প্রথম সবজি বাজারে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা দুলাল আহমেদ। তিনি জানান, ঈদের আগের তুলনায় এখন সবজির দাম কিছুটা বেশি। ঈদের আগে কাঁচাকলার হালি ৩০ টাকা থাকলেও এখন তা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা ইচ্ছাকৃতভাবেই পণ্যের সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মাসুদ স্টোরের স্বত্তাধিকারী মাসুদ আলম বলেন, ঈদের ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। তাই সরবরাহ ঘাটতির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি রয়েছে।

এদিকে দু-একদিনের তুলনায় কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজি প্রতি ২০ টাকা করে কমে ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। অন্যদিকে প্রতি পিস দেশি মুরগি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়; পাকিস্তানি মুরগি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগি বিক্রেতা রিপন জানান, ঈদের সময় ব্রয়লারের চাহিদা একটু বেশি ছিল। এছাড়া এখন দোকানে নতুন মুরগি এসেছে। তাই দাম একটু কম।

রমজানে ৪২০ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও এখন তা ৪১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খাসির মাংসের দাম কিছুটা বেড়েছে। রমজানে খাসির মাংস কেজি প্রতি ৫৭০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি জোড়া ইলিশ মাছ ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকা এবং কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!