• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্লাসিকোয় পরাজয়ের দুঃখ কমালো রিয়াল


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২৭, ২০১৭, ১২:৩৪ পিএম
ক্লাসিকোয় পরাজয়ের দুঃখ কমালো রিয়াল

ঢাকা : ওসাসুনার মাঠে বিশাল ব্যবধানে জিতে তিন পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। দেপোর্তিভো লা করুনাকে সহজেই হারিয়ে পয়েন্টের হিসেবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরে ফেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

এ জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে আগুনে-বারুদে লড়াইয়ে হারের দুঃখ কি ভুলতে পেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ? গত রবিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কাতালানদের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছিল তারা। তিনদিন পর দেপোর্তিভো লা করুনার মাঠে ৬-২ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। এত তাড়াতাড়ি হয়তো মেসির সেই উদযাপনের কথা ভুলতে পারবে না রিয়াল। কিন্তু লা রিয়াজোতে বড় ব্যবধানের জয়ে কিছুটা হলেও দুঃখটা ঘুচেছে।

বুধবার রাতে লা লিগায় রিয়ালও গোল উৎসব করেছে। প্রতিপক্ষের মাঠে ৬-২ গোলের বড় জয়ে জোড়া গোল করেন হামেস রদ্রিগেস। একটি করে গোল করেন আলভারো মোরাতা, লুকাস ভাসকেস, ইসকো ও কাসেমিরো।

বার্সেলোনা ও রিয়াল, দুই দলেরই পয়েন্ট ৭৮। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে শীর্ষে লুইস এনরিকের দল। তবে বাকি পাঁচ ম্যাচে দুই পয়েন্টের বেশি না হারালেই চ্যাম্পিয়ন হবে জিনেদিন জিদানের দল।

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো-টনি ক্রুস বিশ্রামে, সের্হিও রামোস নিষিদ্ধ, চোট পেয়ে মাঠের বাইরে গ্যারেথ বেল। সব মিলিয়ে ক্লাসিকোর শুরুর একাদশের মাত্র দুই জন মার্সেলো আর নাচো ফের্নান্দেস ছিলেন দেপোর্তিভোর বিপক্ষে প্রথম একাদশে। তারপরও রিয়ালের শুরুটা হয় চমৎকার। ম্যাচ শুরুর ৫৩ সেকেন্ডের মাথায় প্রতিপক্ষের ভুল পাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় তারা।

মাঝমাঠের কাছ থেকে দানিলোর বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে ইসকো বাড়ান মোরাতাকে। আর স্পেনের এই স্ট্রাইকার ডান দিক দিয়ে ঢুকে ছয় গজ বক্সের ডান দিক থেকে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ান। প্রথম একাদশে খুব বেশি সুযোগ না পাওয়া মোরাতার এবারের লিগে এটা ত্রয়োদশ গোল।

এগিয়ে যাওয়ার পর টানা আক্রমণ করতে থাকে অতিথিরা, একের পর এক সুযোগও মিলতে থাকে। চতুর্থ মিনিটে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন ইসকো। দুই মিনিট পর তার বাঁকানো জোরালো শট লাগে পোস্টে। দ্বাদশ মিনিটে মার্কো আসেনসিওকে হতাশ করে পোস্ট।

সুযোগ নষ্টের মহড়ার পর চতুর্দশ মিনিটে সহজ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রদ্রিগেস। কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডার ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা ভাসকেসকে বল বাড়িয়ে ছয় গজ বক্সের সামনে ছুটে যান। ফিরতি পাস ধরে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন বার্সেলোনার বিপক্ষে বদলি নেমে গোল করা এই খেলোয়াড়।

তিন মিনিট পর গোলমুখে বল পেয়ে জালে পাঠিয়েছিলেন মোরাতা; কিন্তু অফসাইডের কারণে স্কোরলাইনে পরিবর্তন হয়নি। ৩২তম মিনিটে আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।

৩৫তম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে ব্যবধান কমায় দেপোর্তিভো। ডান দিক থেকে উড়ে আসা বল রাফায়েল ভারানে-মার্সেলোরা বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন রোমানিয়ার ফরোয়ার্ড ফ্লোরিন আন্দোনে।

বিরতির খানিক আগে বাঁ-দিক থেকে মার্সেলোর শট এক ডিফেন্ডার ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে সহজেই স্কোরলাইন ৩-১ করেন ভাসকেস। ৬৬তম মিনিটে মোরাতার বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন রদ্রিগেস।

৭৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান ইসকো। ডান দিক ভাসকেসের পাস পেয়ে প্রথম শটেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। আর ৮৭তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন কাসেমিরো।

এই দুই গোলের মাঝে ৮৪তম মিনিটে হেডে ব্যবধান কমান স্পেনের মিডফিল্ডার হোসেলু। এর আগে ওসাসুনার মাঠে ৭-১ গোলের বিশাল জয় পায় বার্সেলোনা। দুটি করে গোল করেন লিওনেল মেসি, আন্দ্রে গোমেস ও পাকো আলকাসের। অপর গোলটি হাভিয়ের মাসচেরানোর।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!