• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতার স্বপ্ন ধর্মভিত্তিক দলগুলোতে


সোনালী বিশেষ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৭, ০৫:৪১ পিএম
ক্ষমতার স্বপ্ন ধর্মভিত্তিক দলগুলোতে

ঢাকা : ক্ষমতার বাইরে আর থাকতে চাচ্ছে না একাধিক ধর্মভিত্তিক দল। আলাদা জোট গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ক্ষমতা যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা।

দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে জোট গঠনের প্রধান উদ্যোক্তা ইসলামিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৭ সালের শুরুতে একটি বৃহত্তর জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে একটি বৈঠক হবে। বৈঠক থেকেই জোটের নাম ঠিক করা হবে। নুরুল ইসলাম খান  সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে তাদের কথা হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে সমর্থনের বিষয়ে ১১ বছর আগে শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।

এদিকে মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, মো. নূরুল ইসলাম খানের গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্ট, আলমগীর মজুমদারের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), আবদুর রশিদের বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, হাসরত খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী), আব্দুল মালেক চৌধুরীর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল), মাওলানা শাহ মোস্তাকিম বিল্লাহ সিদ্দিকীর জমিয়তে হিজবুল্লাহ বাংলাদেশ, ব্যারিস্টার এম হায়দার আলীর পিপলস জাস্টিস পার্টি ও কাজী আবুল খায়েরের বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নিয়ে জোট গঠন হতে পারে বলে দলগুলোর একাধিক সূত্র জানায়।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে আগামী একাদশ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে আমার দলসহ সমমনা ধর্মভিত্তিক দল। তাই আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোট করে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে এসব দলের শীর্ষ নেতাদের।

আগামী নির্বাচনের এসব দলগুলোর জনসমর্থন কেমন বা ভোটে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম খানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলোর সারা দেশে মোট ভোটের প্রায় ২০ শতাংশ রয়েছে। আমরা ইসলামী মূল্যবোধকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে এর সিংহভাগ ভোট নিজেদের পক্ষে টানতে পারব। তিনি বলেন, সিগন্যাল পেলে আমরাও মাঠে নেমে পড়ব। আশা করি, সমর্থন দৃশ্যমান করতে পারব।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের জোটের অন্তর্ভুক্তের বিষয়ে বলেন, এখনো নতুন জোটে যাব না। তিনি বলেন, জোটে থাকার জন্য অনেকে যোগাযোগ করছে। কিন্তু ভোটের তো দেড় বছর বাকি। আরো দেখতে হবে। দেশে তো শুধু দুটি জোট-১৪ দল ও ২০ দল। এর বাইরে কেউ থাকবে না। জোটের অভিজ্ঞতাও ভালো না, জাতির ক্ষতি হয় এতে। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে ১০টি জোট হয়েছে, কারও অস্তিত্ব নেই। নতুন জোটের কী হবে তা সময়ই বলবে। অনেক হিসাব-নিকাশ ও দর কষাকষির বিষয় রয়েছে।

অপরদিকে জোটের নাম হবে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স অথবা বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এই জোট কাজ করে যাবে। ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান এমপি মিছবাহুর রহমান চৌধুরী নতুন এই জোটের চেয়ারম্যান হতে পারেন। নূরুল ইসলাম খান বলেন, জোটবদ্ধ হতে চলা এই দলগুলোর নেতারা আগামী নির্বাচনেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয় চান। জোটের শীর্ষ নেতাদের জন্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২০টি আসনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!