• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষুধার জ্বালায় ইঁদুর-খরগোশ খাচ্ছে স্কুলশিশুরা!


বিচিত্র সংবাদ ডেস্ক মার্চ ১৮, ২০১৭, ১০:৫৬ পিএম
ক্ষুধার জ্বালায় ইঁদুর-খরগোশ খাচ্ছে স্কুলশিশুরা!

ঢাকা: দুপুরে যে মিড ডে মিল দিতেন স্যার- ম্যাডামরা- তা বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট ছোট শিশুরা ক্ষুধা সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা ক্ষুধার জ্বালায় ক্লাস ফেলে ইঁদুর-খরগোশের পেছনে দৌড়াচ্ছে। ধরে ধরে খাচ্ছে এসব পশুর মাংস। ক্ষুদে শিশুদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়েও পড়েছে।

এমন ঘটনার খবর এসেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডের রাজগড় পাহাড়ের কোলে অবস্থিত গ্রামগুলি থেকে। সেখানকার স্কুলগুলিতে বন্ধ হয়ে গেছে মিড ডে মিল। স্যার-ম্যাডামদের চোখেই পড়ে না। বছরে দুই একদিন তারা আসেন মাত্র। মিড ডে মিল চালু নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথাই নেই।

মূলত, পেটের ক্ষুধা যাতে শিশুদের পড়াশোনার পথে প্রতিবন্ধক না হয়ে দাঁড়ায়, তা সুনিশ্চিত করার জন্যই সারা দেশে সরকারি উদ্যোগে স্কুলে মিড ডে মিল-এর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু সে প্রকল্পের বাস্তবায়নেও যে কতখানি ত্রুটি রয়ে গিয়েছে, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ঝাড়খণ্ডের রাজগড় পাহাড়ের কোলে অবস্থিত গ্রামগুলি। কেননা, কারণ এই গ্রামের স্কুল-পড়ুয়া শিশুরা ইঁদুর কিংবা খরগোশের মতো প্রাণী খেয়ে ক্ষুধার জ্বালা মেটাচ্ছে।

ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। সেগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, রাজগড়ের স্কুলগুলিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু করা হলেও, এর কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না শিশুশিক্ষার্থীরা। কারণ বছরের অধিকাংশ দিনে স্কুলে দেখাই মেলে না কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকার। স্কুলের খাতায় অবশ্য সব সব স্যার-ম্যাডামরা উপস্থিতই আছে। তারা বছরে দু’তিন দিনের বেশ আসার প্রয়োজন বোধই করেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাই মিড ডে মিল ব্যবস্থা মুখ ধুবড়ে পড়েছে ওই গ্রামগুলিতে।

কিন্তু ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েদের ক্ষুধা বাগ মানবে কী করে? দারিদ্র্যের শেষ সীমায় দাঁড়ানো পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেমেয়েরা তাই ক্ষুধার জ্বালায় ইঁদুর আর খরগোশ মেরে তারই মাংস খাচ্ছে। অবশ্য ইঁদুর-খরগোশও সুলভ নয়। রীতিমতো শিকার করে ধরতে হচ্ছে তাদের। তারপর কোনোক্রমে আগুনে পুড়িয়ে সেই সমস্ত প্রাণীর মাংস খাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। আর এ ধরনের খাদ্যাভ্যাসে অবধারিত ভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন এ সমস্ত বিষয়ে একেবারেই উদাসীন। তাদের আশা, পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশ হলে, ‍সৃষ্টি হবে আলোড়ন। তাতে হয়তো টনক নড়বে সংশ্লিষ্টদের।

সোনালীনিউজডটকম/এন

Wordbridge School
Link copied!