• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্ষুধার্ত বৃদ্ধাকে নিজ হাতে খাওয়ালেন ট্রাফিক পুলিশ!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ৩, ২০১৮, ০৮:২৫ পিএম
ক্ষুধার্ত বৃদ্ধাকে নিজ হাতে খাওয়ালেন ট্রাফিক পুলিশ!

ঢাকা: রোগাক্রান্ত গৃহহীন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক বৃদ্ধাকে নিজ হাতে খাবার তুলে খাওয়াচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। আর ওই বৃদ্ধাকে মুখে তুলে খাওয়ানোর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১ এপ্রিল) ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্য তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের এই মহান কাজের জন্য তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী ছাড়াও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।

ওই ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল হলো- বি গোপাল। তিনি রোববার (১ এপ্রিল) হায়দরাবাদের কুকাতপল্লির জওহরলাল নেহরু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের জংশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

দায়িত্ব পালনের সময় তিনি লক্ষ্য করেন রাস্তার পাশে পড়া থাকা বৃদ্ধা বুচাম্মা দুর্বল দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে আছেন। ওই বৃদ্ধাকে বড় ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত দেখাচ্ছিল।

হায়দরাবাদ পুলিশের জনসংযোগ দপ্তর বৃদ্ধা নারীকে পুলিশ সদস্যের তুলে খাওয়ানোর একটি ছবি শেয়ার করেছে; যা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

হায়দরাবাদ পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নায়ানি নারাসিমহা রেড্ডিসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ পুলিশ সদস্যের এ কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ মিনিটের সঙ্গে আলাপকালে  ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল গোপাল বলেন, ‘রোববার (১ এপ্রিল) আমি বুচাম্মাকে রাস্তার পাশে শুয়ে খুবই খারাপ অবস্থায় দেখতে পাই। তাকে খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। আমি তখন বুঝতে পারি তিনি খুব ক্ষুধার্ত। তিনি এতটাই ক্লান্ত যে আঙুল তুলে ধরার শক্তিও নেই তার; পরে আমি তাকে মুখে তুলে খাওয়াই দেই।

তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনিই তিনি বৃদ্ধাকে তিনি দেখতে পান এবং তার সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেন।

গোপাল আরো বলেন, পাঁচ মাস আগে একটি গাড়ি বুচাম্মাকে আঘাত করে। আমরা সেই সময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসা করাই। তখন থেকেই তিনি আমাদের পুলিশ বিভাগের সদস্যদের ঘনিষ্ঠ; যারা ওই জংশনের কাছে দায়িত্ব পালন করেন।

বুচাম্মাকে বর্তমানে চেরলাপল্লীর একটি বৃদ্ধনিবাসে পাঠানো হয়েছে। তার জীবনের এই গল্প খুব হৃদয়বিদারক। তার ৯ সন্তান রয়েছে; অথচ কেউই এই বৃদ্ধা মায়ের খোঁজ-খবর নেয় না। আমি আশা করছি তাদের একজন মায়ের খোঁজে আসবে এবং তাকে বাড়িতে নিয়ে যাবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!