• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কয়েকটি উপায়ে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২, ২০১৬, ০৭:০১ পিএম
কয়েকটি উপায়ে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন

সোনালীনিউজ ডেস্ক

সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন। সবার চাওয়াটা তো এমন-ই। তারপরও কয়জন আমরা থাকতে পারি মনের মত সুস্থ, কর্মঠ? সব কিছুতেই ময়লা জমে। আর আমাদের বাহন শরীরে তা জমবে না, তাই কী হয়?

শরীরে জমা থাকা টক্সিন সরাতে কত কিছুই না করে থাকি আমরা! সুফল পেলে আবারো আগের অনিয়মে ফিরে যাই। কিন্তু, তা একেবারেই ঠিক নয়। ডিটক্সের সুফল ধরে রাখতে নিয়ম মেনে চলতে হয়। নিচের নিয়মগুলো নিয়মিত মেনে সুস্থ ও ঝরঝরে থাকুন সবসময়। শরীরটাকে সুস্থ-ঝরঝরে রাখতে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ডা. আখতারুন্নাহার আলো দিয়েছেন বেশ কিছু পরামর্শ।

খাবার হোক নিয়ম মেনে-
নিয়ম মেনে প্রতিদিন একই সময় সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবার খান। পাশাপাশি মনে রাখবেন, রাত ১০টার পর রাতের খাবার খাওয়া একদমই ঠিক নয়। শরীর ঠিক রাখতে রোজ একই নিয়ম মেনে চলুন।

পানি-ই জীবন-
প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন। এতে শরীর থেকে দূষিত উপাদান বের হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশনও হবে না। সারা দিনে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করুন।

এড়িয়ে চলুন কার্বোহাইড্রেট-
ডিনারে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলুন। দেহে শক্তির যোগান দেয় কার্বোহাইড্রেট। যেহেতু ঘুমের আগে বেশি এনার্জির প্রয়োজন নেই, সেহেতু ডিনারে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, যেমন- আলু, ভাত বা পাস্তা খাবেন না।

লাঞ্চ-ডিনারে ফল নয়-
লাঞ্চ-ডিনারের সঙ্গে ফল খাবেন না। ব্রেকফাস্টের সঙ্গে এক-আধটা ফল চলতে পারে। কিন্তু, লাঞ্চ বা ডিনারের সঙ্গে ফল খেলে তা দেহে সুগারের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ক্যালোরির পরিমাণও বেড়ে যায়। তা ছাড়া, ফল খেলে অনেকের অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ঘুম হোক পর্যাপ্ত-
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। দিনে অন্তত সাড়ে ছ’ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। বেশি ঘুমানোও যেমন ক্ষতিকর, কম ঘুমালেও সমান অসুবিধা হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের ফলে দেহের কার্যক্রম ঠিক থাকে। বেশি খিদেও পায় না।

কম তেলে সুস্থ থাকা-
রান্নায় তেল ব্যবহারে সতর্ক হোন। সবসময় সঠিক তেলে রান্না করুন। অনেকেই ওজন কমাতে অলিভ অয়েলকেই সেরা মনে করেন। ডায়েটিশিয়ানদের মতে, সর্ষে বা নারকেল তেলও কিন্তু কম গুণের নয়। তবে পাম অয়েল এড়িয়ে চলুন। এতে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা স্যাচুরেটেড ফ্যাট বাড়িয়ে দেয়।

বাদ নয় ঘি!-
প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ ঘি খান। শুনলে অবাক হবেন, রোজ খাবারের সঙ্গে একটু ঘি খেলে বাড়তি ওজন কমে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!