• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খদ্দের যেখানে নিয়ে যায় সেখানেই কাজ করি


নিউজ ডেস্ক জুলাই ২১, ২০১৮, ১০:১৭ এএম
খদ্দের যেখানে নিয়ে যায় সেখানেই কাজ করি

ঢাকা : রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান (জিয়া উদ্যান)। একটু প্রশান্তির খোঁজে নগরীর মানুষরা এখানে ছুটে আসা। আবার তাদের সঙ্গে ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে একশ্রেণির কিছু মানুষও এ পার্কে আসে। পার্কটিকে ব্যবহার করে ‘দেহ ব্যবসার’ সুযোগ নেয় তারা। দিনের বেলা থেকে শুরু করে রাত অবদি ভাসমান এই যৌন কর্মীদের পায়চারি করতে দেখা যায় পার্কে। রাস্তার একমাথা থেকে অন্যমাথায় শুধুই তাদের হেঁটে চলা আর অপেক্ষায় থাকা।

শুক্রবার (২০ জুলাই) সরেজমিনে পার্কে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক যৌনকর্মী খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে একজনের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। নাম তার শিউলি (ছদ্মনাম)। দীর্ঘদিন ধরে আছেন এ পেশায়।

শিউলি বলেন, ‘পেটের দায়েই এ পেশায় এসেছিলাম, এখন আর ছাড়তে পারি না। পার্কে মাঝে মধ্যে আসি, খদ্দেরও পাওয়া যায় এখান থেকে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে কাজ করি না। শুধু খদ্দেরের আশায় এখানে আসি। খদ্দের যেখানে নিয়ে যায় সেখানেই কাজ করি। তবে এখন আর আগের মত খদ্দের পাওয়া যায় না। অনেক খদ্দের টাকাও কম দেয়, পুলিশও মাঝে মধ্যে ঝামেলা করে। সব মিলিয়ে কোনরকমে চলছি।’

পার্কের একাধিক জায়গায় দেখা যায়, কেউ বোরকা পরে কেউ আবার মুখে নানা রঙের মেকাপ লাগিয়ে পার্কের মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। লক্ষ্য তাদের একটাই যেভাবেই হোক খদ্দের জোগাড় করা।

এ পার্কে শুধু যে পতিতারাই আসে তা কিন্তু নই। তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) মানুষরাও এখানে ভিড় করে। অভিযোগ আছে, পার্কের ভেতর হিজড়ারা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে।

নিশান নামের একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘পার্কে বান্ধবীকে নিয়ে বসলেই হিজড়ারা বিরক্ত করে, টাকা চায়। টাকা না দিলে অশ্লীল কথা-বার্তা, অঙ্গ-ভঙ্গি দেখায়। এ কারণে তাদের টাকা দিতেই হয়।’

সাকিব নামের পার্কের একজন বাদাম বিক্রেতা বলেন, ‘আমি পার্কে ৪ বছর ধরে বাদাম বিক্রি করি। এদেরকে সবসময়ই এখানে দেখি। সুযোগ পেলেই আপত্তিকর কাজে জড়িয়ে পড়ে তারা। দিনের বেলা তেমন কিছু না হলেও সন্ধ্যায় কিন্তু ওসব কাজ হয়।’

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্কের একজন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরাও জানি এ পার্কে মাঝেমধ্যে এমন কাজ হয়। চোখে পড়লে বাধা দেই। সবসময়তো আর আমাদের চোখে পড়ে না। আর সন্ধ্যা হলে পার্কের ভেতরে কেউ থেকে গেলেতো তা আমাদের নজরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম।’

‘পার্কটাতো আর ছোট নয়, অনেক বড়। এত বড় পার্কে কে কোথায় লুকিয়ে কি কাজ করছে সেটাও আসলে দেখা সম্ভব নয়’ বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!