খাদ্য কেলেঙ্কারীতে ভারতে সাবেক মন্ত্রী লালুকে কারাদণ্ড

ঢাকা: ভারতের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান ও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রাসাদ যাদভকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় সাড়ে তিন বছর কারাণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। পশুখাদ্য ক্রয় কেলেঙ্কারির দ্বিতীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় শনিবার(৬ জানুয়ারি) রাঁচিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাকে এ সাজা দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

রায় ঘোষণাকালে বিচারক শিবপাল সিং তিরস্কার করে বলেন, আসামিদের খোলা কারাগারে রাখাই উপযুক্ত হবে, কারণ তাদের গরু পালনের অভিজ্ঞতা আছে। প্রসঙ্গত, গরু রাখার খাটালে কাজ করা লালু ধীরে ধীরে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে বিহার রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।

নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুইদিন বিলম্ব করে শনিবার ভারতের রানচি স্পেশাল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন(সিবিআই) আদালত এই রায় দিয়েছেন। খবরে বলা হয়, প্রসাদ জেল থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রায় শোনেন। তার ছেলে তেজস্বী যাদব বলেন, তারা মামলাটি উচ্চ আদালতের কাছে নিয়ে নিয়ে যাবে।

পাশাপাশি কারাদণ্ডটি নিয়ে আলোচনা শেষে জামিনের জন্যও আবেদন করবে। প্রসঙ্গত, মামলায় লালু প্রসাদ ছাড়াও ফুল চন্দ, মহেশ প্রসাদ, বেক জুলিয়াস, সুনিল কুমার, সুশিল কুমার, সুধির কুমার ও রাজা রামকে আলাদা করে সাড়ে তিন বছর কারাদ-সহ ৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। বিচারক শিব পাল সিং মামলার ২৪ পাতা লম্বা চূড়ান্ত রায়টিতে স্বাক্ষর করেন।

এদিকে, বিহারের অপর এক প্রভাবশালী দল জনতা দল (ইউনাইটেড)- এর নেতা কেসি তেয়াগি রায়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন ও ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শুক্রবার, লালু প্রসাদ স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে শাস্তি কমানোর আবেদন জানান। তার আইনজীবী, চিত্রাঞ্জন সিনহা তার স্বাস্থ্যের দুরাবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রসাদ তার আবেদনে বলেন, এই কেলেঙ্কারিতে আমার কোন সরাসরি ভূমিকা ছিলনা।

আমার স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও বয়সের দিকে দৃষ্টিপাত করে নূন্যতম শাস্তির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। উল্লেখ্য, সিবিআই আদালতটি গত ২৩শে ডিসেম্বর লালু প্রসাদসহ আরো ১৫ ব্যক্তিকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে।

অভিযুক্তদের মধ্য থেকে বিহারের অপর এক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও জেডি(ইউ) নেতা জগন্নাথ মিশরাসহ ৬ জনকে খালাস করে দেয়া হয়। আদালত, প্রসাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দ-বিধি ও দুর্নিতীবিরোধী আইনের আওতায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

৮০ ও ৯০’এর দশকে বিহারের কোষাগার থেকে গবাদি পশুর জন্য খাবার কেনার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করার দুটি মামলার একটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রসাদ।

সোনালীনিউজ/আতা