• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খানসামায় পানির অভাবে বিপাকে আমন চাষি


খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি আগস্ট ২৭, ২০১৬, ০৬:৩৮ পিএম
খানসামায় পানির অভাবে বিপাকে আমন চাষি

দিনাজপুরের খানসামায় ভরা বর্ষায়ও সেচ দেয়ার পরেও খরা ও প্রচন্ড তাপদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে আমন ধানের ক্ষেত। র্দীঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ার ফলে কৃষকরা আমন আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তারা সেচ যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় সর্বশেষ ২০ আগষ্ট মাত্র কয়েক মিনিট বৃষ্টি হয়েছিল। এর পরে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি কাঙ্খিত বৃষ্টির। এদিকে এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রচন্ড তাপদাহ। ফলে আমন আবাদ নিয়ে চিন্তিত কৃষক। দিনাজপুরঞ্চলে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। শনিবারও একই তাপমাত্রা ছিল। তিন সপ্তাহ ধরে দিনের তাপমাত্রাও একই রকম বিরাজ করছে।

এদিকে টানা খরা ও প্রচন্ড তাপদাহে আমনের ক্ষেত পানির অভাবে ফেটে চৌঁরির হয়ে গেছে। আমন চারা রোপণের পর থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ধান গাছ লালচে ও হলুদ হয়ে গেছে। এতে কৃষক ও কৃষি বিভাগ এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন। 

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষার ভরা মৌসুমে পানির অভাবে আমন ক্ষেত ফেটে চৌঁচির হচ্ছে। সবুজ আমন চারা শুকিয়ে লালচে ও হলুদ হচ্ছে। পানির জন্য কৃষকরা হাহাকার করছে। 

উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের কৃষক হাফিজুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পানিতে আমন আবাদ হয়। এবার সেই বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড রোদে জমি পুড়ে যাচ্ছে। আমন ধান বাচাঁতে আমরা সেলো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছি। একই গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী জানান, তিনি বর্গা নিয়ে ৩৫ শতক জমিতে আমন আবাদ করেছেন। খরায় ক্ষেত রক্ষার জন্যে টাকা করজ করে ক্ষেতে সেচ দিয়েছেন। ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক কৈলাস ও খগেন্দ্র নাথসহ অনেকে জানান, এ সময় ক্ষেতে পর্যাপ্ত পানির দরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি নেই। জমিতে সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। জমিতে সেচ দেয়ার পর পানি নিমেষেই হারিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা বিদ্যুৎচালিত ও শ্যালোমেশিন দিয়ে ক্ষেত রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। এতে এবার আমান আবাদে খরচ বেড়ে যাবে।

পাকেরহাট গ্রামের কৃষক রহমত আলী জানান, পানির অভাবে জমিতে ইউরিয়াসহ অন্য কোনো সার প্রয়োগ করতে পারছেন না। প্রচন্ড খরায় জমি ফেটে চৌঁচির হয়ে যাচ্ছে। জমিতে মাজরা পোকাও দেখা দিয়েছে। ওষুধ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। অতিরিক্ত মাজরা পোকা আক্রমণের কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!