• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা খানমের ‘ছাদ কৃষি’


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি এপ্রিল ২২, ২০১৭, ০৮:৫২ এএম
খালেদা খানমের ‘ছাদ কৃষি’

ঝিনাইদহ: সবুজের ছোঁয়া পেতে কার না মন চায়। কিন্তু ইট পাথর ও নগরের যান্ত্রিক জীবনে সবুজ প্রকৃতির দেখা পাওয়া যেনো খুবই কঠিন, সেখানে গাছপালা তো দূরের কথা, আলো বাতাসেরও যেন বড় অভাব দেখা দেয়।

কিন্তু প্রবল ইচ্ছা আর উদ্যোগ থাকলে শহর জীবনের ছোট বাসা-বাড়িতেও যে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে সবুজ প্রকৃতির ছোঁয়া। আর সেটাই বাস্তবে প্রমাণ করলেন ঝিনাইদহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উদ্ভাবনী নার্সারীর নির্বাহী পরিচালক খালেদা খানম।

নিজের ইচ্ছা শক্তি আর বৃক্ষপ্রেমের তাগিদে সে হামদহ খন্দকার পাড়ায় তার ৪তলা বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন এক সবুজের সমারোহ। সেখানে পায়ের নিচে নরম ঘাসের স্পর্শ না পেলেও হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় বৃক্ষরাজির সবুজ পাতা ও বিভিন্ন ধরণের ফলমুল।

তিন বছর আগে শখ করে বাড়ির ছাদে ছাদকৃষি বাগান করা শুরু করেন তিনি। দিনে দিনে তার বাগানের গাছের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে তা এখন একটি সমন্বিত ফল, ফুল ও শাক-সব্জির বাগানে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে তার বাগানে ৪০ রকমের গাছ রয়েছে। আম পেয়ারা, আঙুর, লেবু শরিফা, জামবুরা, মাল্টা, আমড়া, ছবেদা, চাইনা কমলা, ড্রাগণ ইত্যাদি।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেই বাগানের গাছের পরিচর্যা করেন। খালেদা খানম জানান, তার বাগানের গাছে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন না। জৈব সারসহ ফেলে দেয়া চা পাতা, তরকারি ও মাছের ফেলে দেয়া অংশ দিয়ে নিজের তৈরি করা সার ব্যবহার করেন বাগানের গাছে। বাগানের উৎপাদিত ফল, শাক-সবজি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ শুভার্থীদের দেন।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর খানিকটা চেষ্টা থাকলে আপনিও গড়ে তুলতে পারেন চমৎকার একটি বাগান। যখন ফুল-ফলে আপনার বাগান ভরে উঠবে, তখন আপনার মনও স্বর্গীয় প্রশান্তিতে ভরে যাবে।’


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!