• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড


আদালত প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮, ০২:৩৪ পিএম
খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকসহ বাকি ৪ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পুরনো ঢাকার বখশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হলো। গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন। 

এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। মামলায় শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

তাদের সবাইকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এতিমখানার অর্থ আত্মসাতের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগ- এতিমের অর্থ আত্মসাতের। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার নথি থেকে জানা যায়, এতিমদের নামে কুয়েত থেকে এই অর্থ আসে ট্রাস্টের নামে। কুয়েতের আমীর যে ব্যাংক একাউন্টে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন।

তার মধ্যে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জমা হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সোনালী ব্যাংক রমনা শাখার একাউন্টে। এই একাউন্টের স্বাক্ষরকারী বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯৫ সালে তার স্বাক্ষরেই ওই অর্থ অন্য একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকেই আত্মসাতের মামলার উৎপত্তি।

খালেদার জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান গত ৯ বছর ধরে লন্ডনে পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আসামি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদকের মামলার পর ২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালে বিশেষ জজ আদালতে খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামির বিচার শুরু হয়।

এরপর খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে ৫ দফা বিচারক বদল হয়। শেষ অব্দি আখতারুজ্জামানের আদালতে যুক্তিতর্কের ওপর শুনানি শেষ হয়। বেগম জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে ২৮দিন আদালতে বক্তব্য দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২জন। তবে আসামীপক্ষ থেকে কোন সাক্ষী হাজির করা হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এতিমখানা গঠনের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন আবশ্যক হলেও জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টের ক্ষেত্রে তা’ নেই। নিয়ম লঙ্ঘন করে ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের খালেদা জিয়ার বাসার ঠিকানা ব্যবহার করা হয়।

১৯৯৩ সালে এতিমখানার নাম ব্যবহার করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হলেও ২৫ বছর পরও ওই নামে দেশে কোন এতিমখানার দৃশ্যত রূপ দেখা যায়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!