• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জেলে গেলে বিএনপির হাল ধরবেন কে?


হৃদয় আজিজ মার্চ ১, ২০১৭, ০৪:১৮ পিএম
খালেদা জেলে গেলে বিএনপির হাল ধরবেন কে?

ফাইল ছবি

ঢাকা: দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হতে পারে। এমন শঙ্কায় রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। নেত্রীর জেলে যাওয়া ঠেকাতে তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে বিকল্প চিন্তাও করছেন। বিশেষ করে নেত্রী জেলে গেলে দলের হাল কে ধরতে পারেন বা কার হাতে দলের দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে- এ নিয়ে নানা হিসাব নিকাশ চলছে।

একাধিক নীতিনির্ধারকদের মতে, ভবিষ্যতের সংকটকালে দলের হাল ধরার দায়িত্ব কে পাবেন সেটা ঠিক করবেন চেয়ারপারসন নিজেই। সংশ্লিষ্ট নেতাদের দাবি, এ নিয়ে ভেতরে ভেতরে একটি ‘হোম ওয়ার্ক’ করে রেখেছেন দলীয় প্রধান।

আলোচনা চলছে, আপদকালীন সময়ে দলের হাল ধরতে পারেন জিয়া পরিবারেরই কেউ। যদি তা না হয় তবে যৌথ কমিটির মাধ্যমেও দল পরিচালনা করা হতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের ওপর।

এটা প্রায় পরিষ্কার যে, দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমানকে আগামীর কর্ণধার হিসেবে ভাবা হয়। তবে তাকে নিয়েও রয়েছে নানা জটিলতা। আগামীতে তার দেশে ফেরা অনেকটা অনিশ্চিত। এ কারণে জিয়া পরিবারের অন্য কেউ এ তালিকায় আসতে পারেন। এর মধ্যে তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জোবায়দা রহমানের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জিয়া পরিবারের বর্তমান ভরসা হিসেবে ডা. জোবায়দা রহমানের কথা আগে থেকেই আলোচনায় ছিল। এবারও আলোচনায় উঠে এসেছে। কেউ কেউ বলছেন, ডা. জোবায়দা রহমানকে রাজনীতির মাঠে অনেক আগেই আনা উচিত ছিল। তবে বিষয়টি চেয়ারপারসনের একান্ত পারিবারিক হওয়ায় নেতাকর্মীরা কোনো কথা বলেনি। যারই ওপর ভার ছেড়ে দেয়া হোক না কেন দল যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, সেটি মাথায় রেখেই ডা. জোবায়দাকে নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, আপদকালে ডা. জোবায়দা দলকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবেন কি না তা আগে ভাগেই ভেবে নেয়া প্রয়োজন। যদিও নেতৃত্বে যাকেই আনা হোক না কেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই চলবে দল।

গেল ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের নিয়ে যে ধারাবাহিক বৈঠক করা হয়েছে সেখানেও এসব বিষয় উঠে এসেছে। তবে চেয়ারপারসনের অনপুস্থিতিতে দলের হাল কে ধরবেন এমন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বরাবরই নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘সেটা সময় এলেই জানানো হবে।’ এর মধ্য দিয়ে নেতাদের কাছে বার্তা গেছে, চেয়ারপারসন এ বিষয় নিয়ে আগেই চিন্তা করে রেখেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার বিচারিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দলের অনেকেই হয়তো সংশয় ও অস্থিরতায় ভুগছেন। তবে এটা সত্য যে, বিএনপি বিগত দিনের মতো সব সংকট সামলে নিতে পারবে। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু যদি ঘটে, তখন নিশ্চয়ই দেশনেত্রী সঠিক একটি নির্দেশনা দেবেন আমাদের।’

প্রসঙ্গত, ২০০১-২০০৬ মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির দুই মামলা এখন বিচারের শেষ পর্যায়ে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলা দুটি চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে। শিগগিরই রায় হতে পারে। 

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!