• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
কুমিল্লায় সহিংসতার মামলা

খালেদার জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ


আদালত প্রতিবেদক জুন ১১, ২০১৮, ১০:৩৫ পিএম
খালেদার জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ

ঢাকা : কুমিল্লায় সহিংসতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১১ জুন) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে মানহানির অভিযোগে ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই মামলা বিচারিক আদালতকে দ্রুত নিষ্পত্তির হাইকোর্টের আদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে বহাল রয়েছে। আগামী ২৬ জুন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে সরকারের আপিল অনুমতির আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিচারিক আদালতে নথিভুক্ত থাকা হাজিরা পরোয়ানাসহ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। সরকারের আপিল অনুমতির আবেদনের শুনানি শেষে অবকাশকালীন চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সোমবার এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, একেএম এহসানুর রহমান ও মো. মাসুদ রানা। সরকারপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। গত ৫ জুন কুমিল্লার এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবীরা। পরদিন হাইকোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হয়। ওইদিন মানহানির দুই মামলায় হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চের দেওয়া আদেশ উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু আদেশটি পড়তে রোববার পর্যন্ত সময় নেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

সোমবার (১১ জুন) আবার শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনালকে মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিন আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।  

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতকারীদের পেট্রোল বোমা ছোড়া ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।  

গত ২৮ মে কুমিল্লার আদালতে গ্রেফতার দেখানোপূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সেই আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। শুনানির লম্বা বিরতির কারণে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালন এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশ ও জাতির মানহানির অভিযোগে ঢাকার দুই মামলায় জামিন না দিয়ে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতকে জামিন আবেদন দুটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর সরকার তা স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।

গতকাল সোমবার চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে আগামী ২৫ জুন নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখেন।  

জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানির অভিযোগে মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান এই মামলায় প্রতিবেদন দাখিল করেন। একই বছরের ১২ নভেম্বর এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে এখনো সেই পরোয়ানা তামিল করা হয়নি।

অন্যদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট সাংবাদিক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!