• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার নাইকো মামলা চেম্বারেও স্থগিত


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১২, ২০১৭, ০৪:৫৯ পিএম
খালেদার নাইকো মামলা চেম্বারেও স্থগিত

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত।

রোববার (১২ মার্চ) এ বিষয়ে খালেদার করা আবেদনের শুনানী শেষে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। একইসঙ্গে আবেদনের ওপর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পরে আদেশের বিষয়টি তিনি সাংবাদিকদের জানান।

এর আগে গত ৭ মার্চ বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচার মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার নাইকো মামলা স্থগিতের আদেশ দেন। এ মামলার আরেক আসামি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিষয়ে আদালতের জারী করা রুলের শুনানি চলছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই খালেদার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। 

সেদিন হাইকোর্টের আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, আমরা আদালতে বলেছি, দুদকের মামলা শুনানির জন্য এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত রয়েছে। এই আদালতের সেই এখতিয়ার নেই। এ বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আদালতে আমাদের আবেদন শোনেননি। এই যুক্তিতে আমরা আপিল বিভাগে যাব। গত ১ ডিসেম্বর মওদুদের নাইকো মামলার কার্যক্রম ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে রুল দেন হাইকোর্ট। 

মওদুদদের আইনজীবীরা জানান, নাইকোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নাইকো-বাপেক্স ও পেট্রো বাংলার মধ্যে ওয়াশিংটনের সালিশী আদালতে দুর্নীতির বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। চলতি বছর ১৯ জুলাই সালিশী আদালত এক আদেশে সেখানে বিষয়টি নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের আদালতে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছে।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক গত ৭ ডিসেম্বর লিভ টু আপিল করলে আপিল বিভাগ ১৯ জানুয়ারির মধ্যে রুল নিস্পত্তির নির্দেশ দেন। এরপর সেই রুল শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিব্রত বোধ করায় শেখ আবদুল আওয়ালের বেঞ্চেই সেই রুলের উপর এখন শুনানি চলছে। একই যুক্তিতে খালেদা জিয়াও মামলার কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!