• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার প্রস্তাবে সাড়া নেই, হতাশ বিএনপি


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৬, ২০১৬, ১০:৪৪ এএম
খালেদার প্রস্তাবে সাড়া নেই, হতাশ বিএনপি

অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ১৩ দফা প্রস্তাব রাষ্ট্রপতি ও ক্ষমতাসীনদের প্রধান নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে পেশ করেছিলেন ২০ দলীয় জোট ও বিএনপির সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে খালেদা জিয়ার প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি বা সরকার কোনো তরফেই সাড়া পাচ্ছে না বিএনপি। এ নিয়ে হতাশ দলের নীতিনির্ধারকরা।

ইতোমধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নির্বাচন পুনর্গঠনে খালেদা জিয়ার প্রস্তাব তিনি বুঝতেই পারেননি বলে জানান। তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘উনি এই প্রস্তাব দেয়ার আগে নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে কিভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন, সে বিষয়টি স্মরণ করা উচিত ছিল। উনি (খালেদা জিয়া) রাষ্ট্রপতির কাছেও প্রস্তাব দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিষয়ে প্রস্তাব দেয়ার আগে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য জাতির কাছে ওনার (খালেদা জিয়া) ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। উনি নির্বাচনে অংশ নেননি। এরপর উনি মানুষ খুন করে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের আন্দোলন শুরু করলেন। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। যেকোনো প্রস্তাব দেয়ার আগে তার তো জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল।

এদিকে, খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সমঝোতার কোনো ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা জানিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে গণতন্ত্রের পথ অনেকটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়বে।

অন্যদিকে, আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ না পেয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছে দিয়েছেন ওই ১৩ দফা প্রস্তাবনা। দলের নেতৃত্বে ছিলেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপির প্রস্তাব উপেক্ষা করে কমিশন গঠন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে জনগণ তা মেনে নেবে না।

গত ১৮ই নভেম্বর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। উত্থাপিত এক রূপরেখায় তিনি বলেন, নতুন কমিশন নিয়োগে সব দলের ঐকমত্যে বাছাই কমিটি করবেন রাষ্ট্রপতি আর বাছাই কমিটির কাছে নাম দেবে দলগুলো। পরদিনই এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে তাঁর সামরিক সচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিএনপি। সাড়া না পেয়ে লিখিত আবেদনও করে দলটি।

এরপর ১৫ দিন পার হলেও সাক্ষাতের সময় না পেয়ে দলের সিনিয়র নেতারা বঙ্গভবনে গিয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার ১৩ দফা প্রস্তাবনা। দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার ওই প্রস্তাবনা বিবেচনা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিনিধি দলের জ্যেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী।

তিনি জানান, প্রস্তাব উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে জনগণ তা মেনে নেবে না। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কিছুতেই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়েও বিএনপি প্রস্তাবনা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ এই নেতা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!