• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার মুক্তিতে কী করবে বিএনপি?


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২২, ২০১৮, ০৭:৪১ পিএম
খালেদার মুক্তিতে কী করবে বিএনপি?

ঢাকা: বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াই, পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু কিছুতেই দলের নেত্রীকে মুক্ত করতে পারেননি। তাই ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণে তৃণমূলে যাচ্ছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ইতোমধ্যে জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ৩৭টি পৃথক দল। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভা করে তাদের মতামত নেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের মতামত পর্যালোচনা শেষে নতুন কর্মসূচিতে যাবে দলটি। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভাগীয় সমাবেশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে জেলা পর্যায়েও সমাবেশ করার কথা ভাবছে দল। 

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারের বিশেষ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওইদিনই পুরান ঢাকার কারাগারে নেওয়া হয় তাকে।

পরদিন থেকে তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন, অনশন, লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। ইতোমধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশ করা হয়েছে। 

এ ছাড়া সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে সমাবেশ করবে বিএনপি। খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর লন্ডনে বসবাসকারী তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার নির্দেশনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা সম্মিলিতভাবে দল পরিচালনা করছেন। আগামীদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম জোরদার করতে এবার জ্যেষ্ঠ নেতারা তৃণমূলের মতামত নেবেন। 

দফতর-সংশ্লিষ্ট নেতারা জানিয়েছেন, দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমন্বয়ে যেসব দল গঠন করা হয়েছে দু-এক দিনের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের চিঠি দেওয়া হবে। চিঠি পাওয়ার পর তারা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মিসভার তারিখ চূড়ান্ত করবেন। কর্মিসভায় উঠে আসা মতামত দলের মহাসচিবকে জানাবেন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বসে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে কর্মিসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বলা হয়েছে, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের করণীয় নিয়ে আলোচনা ও মতামত গ্রহণের জন্য দেশব্যাপী জেলা ও মহানগর পর্যায়ে দলের কর্মিসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করার জন্য এ সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সভা সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম সারা দেশে বিভিন্ন জেলা ও মহানগর সফর করবে। চিঠিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার নাম উল্লেখ করে আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে কর্মিসভা সফলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দলনেতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। কর্মিসভায় নিুোক্ত নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’ 

‘তৃণমূল কর্মিসমাবেশে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলার বিএনপির নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা। সংশ্লিষ্ট জেলার বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য, বিগত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। বিএনপির জেলা কমিটির সব কর্মকর্তা ও সদস্য, উপজেলা, পৌর ইউনিটের সভাপতি, ১ নম্বর সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক। বিভিন্ন দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র। গঠনতন্ত্র স্বীকৃত অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা।’

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!