• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার রায়: উৎকণ্ঠায় সারা দেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৮, ২০১৮, ০১:১৩ পিএম
খালেদার রায়: উৎকণ্ঠায় সারা দেশ

ফাইল ছবি

ঢাকা: বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন গণনা শুরু হয়েছে। এদিকে রাজনীতির মাঠ তো অাছেই, সাধারণ মানুষও বেশ উৎকণ্ঠায়। রায়ের দিন ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি বাক্যবাণ শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভয় আবারো কী সেই পেট্রল বোমা হামলা আর গাড়ি পোড়ানো শুরু হবে?

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করবেন ঢাকার পঞ্চম জজ আদালত। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, লন্ডন প্রবাসী তার পুত্র তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। 

বাকি আসামিরা হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে তারেক, কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর পলাতক।  

ঢাকার বাড্ডার দোকানি আসগর আলী জানান, ‘মেয়েটাকে সবেই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করেছি। নতুন বইও পেয়েছে। মেয়েটার শিক্ষাজীবন নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’ পাল্টা প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘স্কুল শুরুর সময় ভাঙচুর, মারামারি, রক্তারক্তি দেখলে মেয়েটির মনে কী প্রভাব পড়বে আপনিই ভাবুন তো?’   

উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের স্কুলশিক্ষক বেলায়েত হোসেন। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এমনিতেই নানা সঙ্কট মোকাবেলা করে ঢাকায় টিকে আছি। এরপর সরকারের শেষ মেয়াদ, বাইরে যারা আছে তারা ক্ষমতামুখী। আমি শুধু শিক্ষক হিসেবেই নয়, একজন অভিভাবক হিসেবে চরম উৎকণ্ঠায় আছি। একবার তো দেখলাম পেট্রোলবোমা, মানুষ পোড়ানো। এবার যে কী হয়!’ 

হানিফ পরিবহনের সিলেটের দরগাগেট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা শ্যামল রায় বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি না, চাকরি করি। গাড়ি চললে ডিউটি করলে টাকা পাই, না চললে পাই না। সড়কে মারামারি থাকলে তো মালিকরা গাড়ি নামাবেন না। আমাদের রোজগারও থাকবে না।’  

রাজধানীর ফকিরাপুলের মেসে থাকেন মাদারীপুরের শাহজাহান মিয়া। রং মিস্ত্রি হিসেবে দিনমজুর দেন। খেটে খাওয়া এ মানুষটিকেও ভাবিয়ে তুলছে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা। তিনি অভিযোগ করে বললেন, ‘ভাই তারা তো (রাজনীতিক) দেশ চালায়, টাকা আনে লুটপাট করে, কিন্তু সেই মাশুল আমাদের দিতে হয়। এই যে রায় ঘোষণার কথা বলা হয়েছে, খালাস হলে তো কথা নেই, সাজা হলেই জ্বলবে আগুন। বন্ধ হয়ে যাবে কাজ-কাম।’ 

ময়মনসিংহের মামুন গত ১১ বছর ধরে ঢাকায় কারওয়ানবাজারে সবজি কেনাবেচা করেন। ২০১৩ সালে রাজপথের সংঘাত দেখেছেন। পরিস্থিতির শিকারও হয়েছেন। ৮ ফেব্রুয়ারির রায় ঘিরে দুশ্চিন্তায় আছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!