• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘খুনিদের সঙ্গে সংলাপ, প্রশ্নই উঠে না’


ভোলা প্রতিনিধি আগস্ট ১৯, ২০১৮, ০৬:০১ পিএম
‘খুনিদের সঙ্গে সংলাপ, প্রশ্নই উঠে না’

ভোলা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কিসের সংলাপ, কার সঙ্গে সংলাপ, খুনিদের সঙ্গে সংলাপ! প্রশ্নই উঠে না। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা বিএেনপি নেত্রীকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংলাপ করার জন্য, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।

তিনি বলেন, কোকো মারা যাওয়ার পর জননেত্রী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়েছিল। মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন তারা আবার সংলাপের কথা বলেন। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে।

রোববার (১৯ আগস্ট) ভোলা সরকারি কলেজ মাঠে শেখ মজিবুর রহমানের শহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক দিবস স্বরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রীর সহধর্মীনি মিসেস আনোয়ারা তোফায়েল উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন,পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সাহস করেনি। খুনি মোস্তাক, খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কিন্তু যতদিন আকাশ-বাতাস থাকবে ততদিন এই বাঙ্গালির মনি কোঠায় বঙ্গবন্ধু থাকবে।

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে তাদেরকে জিয়াউর রহমান পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন স্থানে চাকরি দিয়েছে। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া খুনিদের সংসদ সদস্য করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী জেলে, তারপরও ওদের আন্দোলন করার সাহস নেই। ওরা নিজেরা আন্দোলন করতে পারে না। তাই ছাত্রদের আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। এখন আবার বলে আমাদের সরকারের অধিনে নির্বাচন করবে না।

শেখ হাসিনা সরকারের অধিনেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে-এ কথা উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই সরকারই ক্ষমতায় থাকবে। আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবে প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিএনপি যদি না আসে আমাদের ১৪ সালের নির্বাচন থেমে থাকেনি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন না করে ভুল করেছিল। আবার যদি নির্বাচন না করে বিএনপির এটা হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল। এই দলটির অস্তিত্ব ভবিষতে কেউ খুঁজে পাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুরর রহমান না জন্মালে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তার জন্যই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেলাম। তার জন্ম সার্থক। তার সংগ্রামের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে ৪৬৮২ দিন কারাগারের প্রকষ্টে কাটিয়েছেন তিনি। মুজিব ধাপে ধাপে এদেশের মানুষের স্বাধীকার সংগ্রামের বিজ বপন করে দিয়েছেন।

দেশের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন আর দরিদ্র দেশ নই। আমরা ইতিমধ্যে স্বল্পউন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হতে চলেছি। মাথা পিছু আয় আজ আমাদের বৃদ্ধি পেয়ে আজ ১৭৫২ ডলার, যা বিএনপির আমলে ছিল ৪০০ ডলার। রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছি, যা বিএনপির আমলে ছিলো ১০ বিলিয়ন ডলার। এভাবে রেমিটেন্স আজ ১৫ বিলিয়ন ও রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ওরা রাষ্ট চালায়নি, শুধু লুটপাট করেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের টাকায় পদ্মা ব্রিজ, মেট্রো রেল, কর্ণফূলী র্টানেল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়ড়া বন্দর, এলিভেয়েট এক্সপ্রেস সড়কসহ অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরে মন্ত্রী অপর এক অনুষ্ঠানে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী ২৬৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেন।

ভোলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভিন আকতারের সভাপতিত্বে শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন , আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুছ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ  কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।

এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ভোলা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান, বাণিজ্য, প্রশাসনিক ও হোস্টেল ভবন উদ্বোধন করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!